My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


শেষ ওভারে নাটকীয়তা, প্লে অফে চট্টগ্রাম

বঙ্গবন্ধু টি-টোিয়েন্টি কাপের ১৬তম ম্যাচে নিজেদের শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৯ রানের দরকার ছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের। প্রথম বল ডট দিলেও দ্বিতীয় বলে চার মারেন মুস্তাফিজুর রহমান। আর এরপরেরটা সিঙ্গেল নেন। টানা তিন বলে তিন সিঙ্গেল নিলে শেষ বলে জয়ের ২ রানের দরকার হয়। রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ বলে ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন শামসুর রহমান শুভ। এ জয়ে খুলনাকে হারিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করলো চট্টগ্রাম।

১৫৮ রানের মাঝারি লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি চট্টগ্রাম। চলতি টুর্নামেন্টে দারুণ ব্যাটিং করা লিটন দাস ফিরে গেছেন মাত্র ৪ রান করে। এরপর তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয় আক্রমণাত্বক শুরু করলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ১৪ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান।

এরপর সৌম্য সরকার এবং অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন দলের বিপদে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। তবে এদিন ধীর গতির ব্যাটিং করা সৌম্য ২২ বলে ১৯ রান করে ফিরে গেলে ভাঙে তাদের দুজনের ৩৩ রানের জুটি। তাঁর বিদায়ের পর ফিরে যান মিঠুনও। হাসান মাহমুদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ২৩ রান করে আউট হন।

বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু করা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত মাত্র ১০ রান করে মাশরাফি বিন মুর্তাজা বলে বোল্ড হন। এদিন থিতু হতে পারেননি চলতি টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা জিয়াউর রহমানও। শেষ দিকে চট্টগ্রামকে জয়ের স্বপ্ন দেখান শামসুর রহমান শুভ। তাঁর সঙ্গে তখন যোগ দেন নাহিদুল ইসলাম। 

নাহিদুলের তুলে দেয়া ক্যাচ মাহমুদউল্লাহ অবশ্য লুফে নিতে পারেননি। সুযোগ পেয়ে শুভাগতের পরের বলেই ছক্কা মেরে খেলা আরও ক্লোজ করে নিয়ে আসেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। পঞ্চম বলে আরও এক ছক্কা মারলে চট্টগ্রামের জয় কেবলই সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

শেষ বলে আবারও বাউন্ডারি মারতে গেলে জহুরুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১০ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন। শেষ দিকে শামসুরের ৩০ বলে ৪৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের উপর ভর করে শেষ বলে জয় তুলে নেয় মিঠুনের দল।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও তা দীর্ঘস্থায়ী করতে পারেননি জাকির হাসান এবং জহুরুল ইসলাম। ১৫ বলে ১৫ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে তাদের দুজনের ৩৩ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউটে কাটা পড়ে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ২৬৪ দিন পর মাঠে নামা মাশরাফি।

পুরো টুর্নামেন্টের মতো এদিনও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি সাকিব। ফিরে গেছেন মাত্র ১৫ বলে ১৫ রান করে। টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে খুলনা যখণ ধুঁকছিল তখন প্রতিরোধ গড়ে তুলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং ইমরুল কায়েস। তবে তাদের দুজনের কেউই বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি। 

ইমরুল ফিরে গেছেন ২৩ বলে ২৪ রান করে আর মাহমুদউল্লাহ ফিরে গেছেন ১৭ বলে ২৬ রান করে। তাতে দেড়শো রানের দলীয় সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়ে। তবে শেষে দিকে শুভাগতের ৬ চার এবং এখক ছক্কায় ১৪ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে ১৫৭ রানের সংগ্রহ এনে দেন।  চট্টগ্রামের হয়ে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম আর ৩৬ রানে ২ উইকেট নেন মুস্তাফিজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:


জেমকন খুলনা:
১৫৭/৯ (ওভার ২০) (শুভাগত হোম ৩২*, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৬, জহুরুল হক ২৬, শরিফুল ইসলাম ৩/৩৪, মুস্তাফিজুর রহমান ২/৩৬)


গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম:
১৬২/৭ (ওভার ২০) (শামসুর রহমান শুভ ৪৫*, মাহমুদুল হাসান জয় ২৪, সাকিব আল হাসান ২/৩০, শুভাগত হোম ২/৩৪)