সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি আজ বুধবার শুরু হচ্ছে। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় এখনও দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও পেসার নাহিদ রানা। প্রথম ম্যাচে তাদের দুইজনকে ছাড়াই টিম ম্যানেজমেন্টকে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে। দলে সাকিব আল হাসান নেই। নেই নাসুম আহমেদও। এই অবস্থায় বাঁহাতি স্পিনার ছাড়া বাংলাদেশ দলকে খেলতে হবে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য জানিয়েছেন, বাঁহাতি স্পিনার না থাকলেও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনে আস্থা রাখছেন তিনি।
বাংলাদেশ দলের দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বাঁহাতি স্পিন অপশন নিয়ে চিন্তিত নন। নাসুমকে প্রথম ওয়ানডেতে না পেলেও আস্থা রাখছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের ওপর। এ প্রসঙ্গে শারজায় ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেছেন, ‘নাসুম ও রানা চলে আসবে বলে এখনও বিশ্বাস করছি। ক্রিকেট বোর্ড ভালোভাবেই এটা দেখছে। এখনো যেহেতু সময় আছে, আশা করি চলে আসবে। তবু আরও একটু আগে চলে এলে ভালো হতো। এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’
কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে রিশাদের পারফরম্যান্স ভালোই। ওয়ানডে সংস্করণে তার বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি। ৩ ওয়ানডেতে ৫.৪৮ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১ উইকেট। তবু তার উপর আস্থা রাখছেন অধিনায়ক, ‘আমাদের বাঁহাতি স্পিনার না থাকলও রিশাদ আছে। টি-টোয়েন্টিতে রিশাদ যে বোলিং করছে, তাতে ও একটা ভালো অপশন হতে পারে।’
দুই ক্রিকেটার ভিসা জটিলতার কারণে পৌঁছাতে পারেননি। সিরিজটিতে খেলছেন না সাকিব আল হাসান। অসুস্থতার জন্য দলে নেই লিটন দাসও। সব বিপদ কি একসাথে লেগেছে? সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে শান্ত বলেছেন, ‘কঠিন। আমার মনে হয় সবগুলো যদি স্মুথলি হতো, অবশ্যই একটা দলের জন্য তো খুবই ভালো হতো। যেটা আমি বললাম, এগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ক্রিকেটার হিসেবে আসলে এই জিনিসগুলোর চেয়ে বেশি, আমাদের যে সামর্থ্য আছে, সেটাকে কীভাবে কাজে লাগাতে পারি তা গুরুত্বপূর্ণ। বাইরের এই বিষয়গুলো যদি সামনের সিরিজগুলো থেকে স্মুথলি চলে, তাহলে আমাদের দলের জন্য আরও ভালো হবে।’
বাংলাদেশের ব্যাটারদের আতঙ্কের নাম আফগান পেসার ফজল হক ফারুকি। তার পরেও ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আশাবাদী শান্ত বলেছেন, ‘অবশ্যই (ফারুকি) দারুণ একজন বোলার। কিন্তু আমার মনে হয় এই দলের বিপক্ষে আমরা অনেক খেলেছি। ওই আইডিয়াটা তো অবশ্যই আছে। যারা টপ অর্ডারে ব্যাট করবে তাদের দায়িত্বটা নিতে হবে যে নতুন বলটা কীভাবে হ্যান্ডেল করবে।’
৮ মাস পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। লিটন না থাকায় ওপেনিংয়ের একটা জায়গা তো ফাঁকা হয়েই গেলো। সেক্ষেত্রে তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান এই দুই ব্যাটারের ওপেনিং করার সম্ভাবনা বেশি। জাকির ওয়ানডেতে খেলেছেন কেবল ১ ম্যাচ। সেটাও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। তানজিদ তামিম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সেরা ৮৪ রানের ইনিংস খেললেও বেশিরভাগ সময় ইনিংস বড় করতে পারছেন না। তিন নম্বরে শান্ত বা সৌম্য সরকারের যেকোনো একজনেরই ব্যাটিংয়ের সম্ভাবনা বেশি। ব্যাটিং অর্ডার যেমনই হোক, বাংলাদেশকে এখন টপ অর্ডার নিয়েই বেশি চিন্তিত থাকতে হচ্ছে। শান্ত এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘যেকোনও সংস্করণেই টপ অর্ডার... শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে নির্দিষ্ট করে কাউকে, যারা টপ-অর্ডারে ব্যাটিং করে ওরা বেশি চাপ নিয়ে ব্যাটিং করুক, এই জিনিসটা আমি চাই না। ওপরের দিকে যারা ব্যাটিং করছে, আমি চাই যে খেলাটা উপভোগ করুক। যতটুকু সামর্থ্য আছে, সে অনুযায়ী দলের জন্য খেলুক। আমি বিশ্বাস করছি, এই সংস্করণে আমরা ভালো করবো। অতীতেও ভালো করেছি। অবশ্যই আফগানিস্তান এই কন্ডিশনে ভালো দল। তবে আমি যেটা মনে করি, আমাদের যে দলটা আছে, যদি শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি, অবশ্যই তাদের বিপক্ষে ভালো খেলা সম্ভব।’