অভিজ্ঞ রুবেল হোসেনের সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফউদ্দিন আছেন বাংলাদেশের পেস আক্রমণের নেতৃত্বে। পাশাপাশি তরুণ দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদও সুযোগ পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রাথমিক স্কোয়াডে। সিনিয়র পেসারদের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে তরুণ পেসাররাও ভালো করেছে। ফলে একাদশ গঠনে নির্বাচকদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে। যদিও পেসারদের এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইতিবাচক দিক দেখছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন।
মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো অনুশীলন সেড়েছে বাংলাদেশ দল। সেখানে নিজেকে ফিরে পেতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তরুণ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। ইনজুরি থেকে ফিরে কুড়ি ওভারের টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে তিন উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। যদিও প্রেসিডেন্ট কাপে চার ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে সব আলো নিজের করে নিয়েছিলেন।
নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে সাইফ সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ লাস্ট তিনদিন হাই ইন্টেন্সি নিয়ে প্র্যািকটিস করলাম ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবই করলাম। আর লাস্ট দুইটা টুর্নামেন্ট বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আমাদের পেসাররা অনেক ভালো করেছে। এ কারণে এ জায়গায় আমাদের পেসারদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে সেরা একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়ে। এ জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতেছি। বাকিটা আল্লাহর হাতে। সবমিলিয়ে সেশনগুলো খুব উপভোগ করছি। সামনে আরও সুযোগ পাবো অনুশীলনের, পাশাপাশি অনুশীলন কিছু ম্যাচও আছে।’
সব কিছু ছাপিয়ে সাইফউদ্দিনের মনে আনন্দ মাঠে ফিরতে পেরে, ‘অনেক খুশির বিষয়, আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছি। শুরুতে ঘর বন্দী ছিলাম, এর মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেট খেললাম। আসলে জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সবসময় গর্বের বিষয়। আর সবচেয়ে বড় কথা আমাদের মাঝে এক বছর পর সাকিব ভাই ফিরে এসেছে এ কারণে ভালো লাগাটা অন্যরকম। আর যেহেতু ঘরের মাঠে আমাদের হোম সিরিজ, তাই বাড়তি উদ্দীপনা জোগাচ্ছে।’