১২ বছর পর এবার প্রথম নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। তবুও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বিশ্বকাপে মোটাদাগে ব্যর্থই বলা চলে নিগার সুলতানা জ্যোতির দলকে। তবে দলগতভাবে ব্যর্থ হলেও কিছুটা ব্যক্তিগত সাফল্যের ছোঁয়া পেয়েছেন জ্যোতি। উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে আইসিসি প্রকাশিত নারী বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
জ্যোতির দল অনুমিতভাবে স্কটল্যান্ডকে হারালেও অন্য তিনটি বড় দলের সঙ্গে হেরেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের সুযোগ থাকলেও ম্যাচটি হারে লাল-সবুজের দল। এরপর ওয়েস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় বাংলাদেশের।
প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়া দলটির হয়ে বলার মতো পারফরম্যান্স ছিল শুধু অধিনায়ক জ্যোতি এবং সোবহানা মোস্তারির। বাংলাদেশ বাদ পড়া পর্যন্ত আসরের সেরা চার রান স্কোরারের দুই জন ক্রিকেটারই ছিল বাংলাদেশের।
চার ইনিংসে ৮৮.৭৪ স্ট্রাইক রেটে ১৩৪ রান করেন সোবহানা, আর ৮৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ১০৪ রান করেন জ্যোতি। এ ছাড়া বর্ণহীন ছিল অন্যদের পারফরম্যান্স। আইসিসির সেরা একাদশে জায়গা পেয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি পেলেন জ্যোতি।
ব্যাট হাতে রান করা ছাড়াও জ্যোতি উইকেটের পেছনে নিয়েছেন ১টি ক্যাচ, করেছেন ৬টি স্টাম্পিং। সদ্য সমাপ্ত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার চেয়ে বেশি ডিসমিসাল নেই অন্য কোনো উইকেটরক্ষকের।
ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে রানার্সআপ হলেও টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে সবচেয়ে বেশি তিনজন সাউথ আফ্রিকার, সেরা একাদশের অধিনায়কও দলটির লরা উলভার্ট। চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের দুজন ঠাই পেয়েছেন সেরা একাদশে। সর্বমোট সাত দেশের প্রতিনিধি আছেন টুর্নামেন্টের সেরা দলে।