দ্বিতীয় দিন শেষে ছিল ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা। তৃতীয় দিনের দারুণ ব্যাটিংয়ে কিছুটা বদলেছিল দৃশ্যপট। ৮১ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিন সকালে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ অল আউট হয়েছে ৩০৭ রানে। প্রথম ৪০ মিনিটে মাত্র ২৪ রান যোগ করার সঙ্গে সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এই মুহূর্তে ১০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা সফরকারীরা এক উইকেট হারিয়ে রান করেছে ৪২।
দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস- ১০৬ রানের মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দেখে শুনে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন এইডেন মার্করাম ও টনি ডি জর্জি। দুই ওপেনারের ব্যাটে লাঞ্চের আগেই দলকে নিয়ে যান ভালো অবস্থানে।
ইনিংসের শুরু থেকে নিয়মিতই বেশ কয়েকটি ভালো ডেলিভারি করেও উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। অষ্টম ওভারে তাইজুল ইসলামের বলে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন মার্করাম। স্টাম্পের ওপর ডেলিভারি সুইপ করেছিলেন মার্করাম। বল প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক।
রিপ্লেতে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে ব্যাটের নিচের কানা ছুঁয়েছে বল৷ তাই বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। বেঁচে যান মার্করাম। এর দুই ওভার পরই তাইজুলের আর্ম বলে বোল্ড হন মার্করাম। দলের রান ৫০ হওয়ার আগেই বিদায় নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ২৭ বলে ২০ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস-
নতুন দিনের শুরুতে দ্বিতীয় নতুন বল হাতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারেই আঘাত করেন কাগিসো রাবাদা। ইনসুইং ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন নাঈম হাসান। খালি চোখেই নিশ্চিত আউট বোঝা যাওয়ায় রিভিউ নেননি ১৬ রান করা নাঈম। নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন এই পেসার।
এরপর ব্যাটিংয়ে নামা তাইজুল ইসলাম ভিয়ান মুল্ডারের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি দারুণ কাট শটে বাউন্ডারি মার। দলের রান তিনশ পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে লিড ছাড়ায় ১০০। খানিক পরই অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি খোঁচা মেরে স্লিপে ধরা পড়েন তাইজুল।
ক্রিজে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আসেন হাসান মাহমুদ। অপরপ্রান্তে সেঞ্চুরির জন্য লড়তে থাকা মিরাজ শেষ পর্যন্ত শতক পূরণ করতে পারেননি। রাবাদার ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বসেন ব্যক্তিগত ৯৭ রানে। ৩০৭ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। ১০৬ রানের লক্ষ্য পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।