২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ কোটি ১৯ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার) ক্ষতি হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। বিশ্বের সবচেয়ে সফল ক্রিকেট বোর্ডগুলির একটি তবু খুব অখুশি নয় এতে। তাদের ধারণার চেয়ে যে অনেক কম ঘাটতি রয়ে গেছে এবার!
যে মৌসুমে খুব আকর্ষণীয় সিরিজ থাকে না, ভারত বা ইংল্যান্ডের মতো দলগুলির সফর থাকে না, সেই বছরগুলোয় আরও বড় ঘাটতি সাধারণত অনুমান করে রাখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। গত মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যাদেরকে ঘিরে দর্শক আগ্রহ কম এবং সম্প্রচার স্বত্ব ও স্পন্সরশিপ থেকেও আয় কম।
২০২২-২৩ মৌসুমের চেয়ে এবারের আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ যথেষ্টই বেশি। ওই অর্থবছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে মোটা অঙ্কের আয় হয়েছিল।
তবে বৃহস্পতিবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বার্ষিক সাধারণ সভায় আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করে স্বস্তি প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাহী নিক হকলি।
“এই আর্থিক ফলাফল আমাদের অনুমানের চেয়ে বেশ ভালো। ব্যয় ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব বাড়ানোর তাড়না নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের শক্তিশালী সামগ্রিক উদ্যোগের ফলাফল এটি।”
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রচারণামূলক নানা উদ্যোগের ফলে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ থেকে মাঠে দর্শক উপস্থিতি থেকে আয় হয়েছে ৭০ লাখ ডলার বেশি। এছাড়া আইসিসি, আইপিএল ও ভারতের কর অফিস থেকে নানা খাতে কোষাগারে যোগ হয়েছে বাড়তি আরও ১ কোটি ১০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
বোর্ডের নতুন চুক্তিতে তাই ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক সাত শতাংশ বাড়াতে সমর্থ্য হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
সামনেই বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি থেকে বড় অঙ্কের আয় হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। আগামী মৌসুমে আছে অ্যাশেজ। পরের দেড় বছরে তাই বোর্ডের আয় নিশ্চিতভাবেই বাড়বে অনেক বেশি।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ দেশের বোর্ডই বেশির ভাগ সিরিজ আয়োজন করে ক্ষতির মুখোমুখি হয়। তবে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ থাকলে যত আয় হয়, তা দিয়েই অন্য সব সিরিজের ঘাটতি সাধারণত পুষিয়ে নেওয়া যায়। সব দেশই তাই ভারতকে নিজেদের আঙিনায় পেতে মুখিয়ে থাকে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিক হকলির শেষ সাধারণ সভা এটিই। গত অগাস্টে তিনি ঘোষণা দেন, পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২৫ সালের মার্চে সরে যাবেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বৃহস্পতিবার জানায়, নতুন প্রধান নির্বাহীর খোঁজে কোনো তাড়াহুড়ো করবে না তারা।