My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


তামিমের লাইভে না থাকার কারণ খোলাসা করলেন সাকিব

করোনাকালে বাংলাদেশে যখন লকডাউন চলছিল তখন তামিম ইকবালকে দেখা যায় সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ভূমিকায়। মার্চ মাসে দেশের ক্রিকেট থমকে যাওয়ার মাস দুইয়েক পর ফেসবুক লাইভে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আড্ডায় মাতেন ওয়ানডে দলপতি। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটাররা সেই লাইভের অংশ নিলেও আসেননি সাকিব আল হাসান। 

এরপরই জনমনে সঞ্চার করেছে নানা প্রশ্নের। অনেকে মনে করছেন সাকিব-তামিমের বন্ধুত্বে কোনো কারণে ফাটল ধরেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ক্রিকেট মহলেও এ নিয়ে হয়েছে নানা আলোচনা। তবে এবার তামিমের সেই লাইভ আড্ডায় না আসার কারণ খোলাসা করেছেন সাকিব।

একাত্তর টেলিভিশনের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন, পারিবারিক কারণে সে সময় তামিমের লাইভে সময় দিতে পারেননি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাস্ট্রের সময়ের ব্যবধানও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সাকিবের জন্য। 

সাকিব বলেন, 'ওই সময় যেটা হয়েছিল যে আমার মাত্র দ্বিতীয় সন্তান পৃথিবীতে এসেছে। করোনার কারণে সে সময় আসলে সাহায্যের জন্য তেমন মানুষও পাওয়া যাচ্ছিলো না। তো সে সময় আমি সারারাত আমার মেয়ের দেখাশোনা করতাম। রাত ১০ টা থেকে ভোর ৬-৭টা পর্যন্ত।' 

'এরপর আমার শাশুড়ি বা স্ত্রী আসত। সারারাত জেগে থেকে ওই সময়টাতে লাইভে আসা আমার জন্য একটু কঠিন ছিল। ওদের সময় ছিল ৮ বা ৯টা। সে সময় আমি ঘুমে থাকতাম কারণ আমার ওখানে তখন সকাল। সে সময় আমার জেগে থাকার কোন উপায় ছিল না। প্রথম ৩ মাস এভাবেই কেটেছিল আমার।' 

তামিমের ফেসবুক আড্ডায় দেশি ক্রিকেটাররা ছাড়াও ছিলেন বিদেশি ক্রিকেটার। এসেছিলেন ফাফ ডু প্লেসি, ভিরাট কোহলি, কেন উইলিয়ামসনদের মতো বড় বড় তারকা ক্রিকেটাররা। এমনকি সর্বশেষ পর্বে তামিমের সঙ্গে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম এবং মাশরাফি বিন মর্তুজা। ছিলেন না শুধু সাকিবই।

সে সময় সাকিবের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তামিম বলেছিলেন, 'তার (সাকিব) সঙ্গে প্রায় ৭/৮ দিন আগে যোগাযোগ করেছিলাম। ৫ জন এক হতে চেয়েছিলাম শেষ শো'তে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে যোগ দিতে পারবে না সাকিব।'

সাকিবের ব্যক্তিগত কাজের ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন তামিম, 'এটা নিয়ে বেশি আলোচনা করার দরকার নাই। আর এটা আমাদের সবাইকে সম্মানও করা উচিত। তবে আমি অন্যদের ব্যাপারে কৃতজ্ঞ। আমরা ৫ জন থাকতে পারব না। তবে ৪ জন পারব' আরও যোগ করেছিলেন তামিম।