টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই গ্রুপ এফ’কে গ্রুপ অফ ডেথ বলে দেগে দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। প্রত্যাশা ছিল এই গ্রুপটির শেষ ম্যাচে শেষ মিনিট পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা থাকবে। অঙ্কের কাটাছেঁড়া থাকবে। হলও তাই। বুধবার মহানাটকীয় রাত উপহার দিল ইউরো। দুর্দান্ত লড়াই করেও জার্মানদের হারাতে পারল না হাঙ্গেরি। অমীমাংসিত ভাবে শেষ হল জার্মানি বনাম হাঙ্গেরি ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ সামলে নকআউট পর্বে পৌঁছে গেল ৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
গ্রুপ এফকে কঠিন গ্রুপ বলা হলেও কোনও বিশেষজ্ঞই হাঙ্গেরিকে নিয়ে বিশেষ বাজি ধরছিলেন না। কিন্তু একসময় বিশ্ব ফুটবল দাপিয়ে খেলা দেশটা যেভাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এবং জার্মানিকে আটকে দিল, তা এক কথায় অনবদ্য। আর তাদের অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্যই জমে গেল গ্রুপ এফের লড়াই। গ্রপের শেষ ম্যাচে শুরু থেকেই কাউন্টার অ্যাটাকের স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিল হাঙ্গেরি। রক্ষণ শক্ত করে প্রতিপক্ষকে গতির খেলায় কাবু করা, এটাই ছিল তাদের ছক। এবং সেই ছকেই জার্মানদের কার্যত কাবু করে ফেলেছিল হাঙ্গেরি।
১১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করেই হাঙ্গেরিকে প্রথমে এগিয়ে দেন অ্যাডাম সেলয়। ম্যাচের ৬৫ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল আন্ডারডগরাই। কিন্তু ৬৬ মিনিটে গোলকিপারের ভুলে গোল হজম করতে হয় তাঁদের। কার্যত ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দিয়ে জার্মানদের সমতায় ফেরান কাই হ্যাভার্টজ। কিন্তু, দু’মিনিটের মধ্যেই ফের এগিয়ে যায় হাঙ্গেরি। এবারে গোল করেন সাফার। একটা সময় মনে হচ্ছিল, ইউরোর সবচেয়ে বড় অঘটন বুঝি ঘটেই গেল। জার্মানরা বুঝি ছিটকেই গেল। ঠিক তখনই গোরেটজকার দুর্দান্ত গোলে ফের সমতা ফেরায় জার্মানরা। ম্যাচ শেষ হয় ২-২ গোলে। ড্র’য়ের ফলে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল জার্মানি। শেষ ষোলোয় জার্মানদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। চতুর্থ হয়ে বিদায় নিল হাঙ্গেরি।