টেস্ট ক্রিকিটে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় ২০০০ সালে। হাঁটি হাঁটি করে টেস্টে দুই দশক পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশের। ২০০০ সালের নভেম্বরে টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রা শুরুর পর এখন পর্যন্ত খেলেছে ১২১ ম্যাচ। ১৪ জয়ের সঙ্গে ১৬ ড্র বাংলাদেশের। বাকি ৯১ ম্যাচে হার। সাফল্যের বিচারে খুব বেশি প্রাপ্তি নেই বাংলাদেশের। বিশেষ করে, দেশের বাইরে বাংলাদেশের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সাফল্য আসলেও বিদেশের বেশিরভাগ সময়ই ব্যর্থ হন ক্রিকেটাররার। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরেরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে তিন ফরম্যাটেই নিজেদের ধারাবাহিক ভাবে তৈরি করতে পারেনি তামিম-মুমিনুল-মুশফিকরা। তবে বিসিবি সভাপতি আশা করছেন খুব দ্রুতই বাংলাদেশ শীর্ষ ৫ দলের একটি হয়ে উঠবে।
আজ (শনিবার) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্ব-স্ত্রীক করোনাভাইরাস টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ওই সময় তিনি দলের বর্তমান পারফরম্যান্স ও দল নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানান। গত ফেব্রুয়ারি বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স উন্নতির জন্য কিছু পদক্ষেণ বোর্ড নেবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যেই ক্রিকেটারদের মধ্যে পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন নাজমুল হাসান।
শনিবার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘জিতে গেলে এত খুশি হওয়ার কিছু নেই। হেরে গেলে বেশি কষ্ট পাওয়ার ও কিছু নেই। হেরে যাওয়ার পর মাঝে মাঝে আমরা এত বেশি বলে ফেলি, যা দলের উপরে প্রভাব পড়ে। আমাদের সাহস দিতে হবে। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমরা এমন একটি দল যে কাউকেই হারাতে পারি। তাই বলে আমরা কিন্তু সেরা দল না। কেউ যদি মনে করে আমরা সেরা দল, সেটা কিন্তা না। তবে আমাদের পোটেনশিয়াল আছে, এটকে ধারাবাহিক করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের পাইপলাইনের খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা আশাবাদি। আর ওইদিন বেশি দূরে নেই আমাদের যে টার্গেট, আমরা প্রথম ৫টা দলের মধ্যে থাকব, ইনশাআল্লাহ।’
২০২০ সালে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি মনোযোগ দিতে চেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। কিন্তু করোনার কারনে সেটি আর হয়নি। আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে বোর্ড সভাপতি জানালেন, ‘টেস্টে নিসন্দেহে বাংলাদেশ দুর্বল। আপনাদের বলেছিলাম ২০১৯ এর আমরা টেস্টের ওপরে মনোযোগ দিব । দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার পরে বলেছিলাম পাইপলাইন ঠিক করব। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দেখেছেন এবং বয়সভিত্তিক খেলাগুলো হচ্ছে। অবশ্যই আমাদের পাইপলাইন ভালো। পরবর্তী লক্ষ্য হল কিভাবে টেস্টে ভাল করা যায়। গত প্রায় দেড়টা বছর কোভিডের কারণ সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল। যে প্রোগ্রাম করেছিলাম কিছুই করতে পারিনি। কিন্তু আমি হতাশ নই। আমাদের যে প্রতিভাধর ক্রিকটার আছে টেস্টে ভাল না হওয়ার কারণ নাই। কোভিড বিদায় নিলে আমরা আমাদের পদক্ষেপগুলো শুরু করবো।’
নিউজিল্যান্ড সফরে টিম লিডার হয়ে দলের সঙ্গে গিয়েছিলেন জালাল ইউনুস। চলমান শ্রীলঙ্কা সফরে দলের সঙ্গী খালেদ মাহমুদ সুজন। মুমিনুলদের সঙ্গে সুজন থাকায় দলের সব তথ্যই নাকি পাচ্ছেন বিসিবি সভাপতি। শনিবার তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, ‘এখান অন্তত জানতে পারছি একাদশ কি হচ্ছে, যদি টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিবে নাকি ফিল্ডিং নিবে। আগে যেটা ছিল জানতামই না। খালেদ মাহমুদ ওখানে থাকাতে দল আরও স্পিরিটেড হয়ে যাওয়া উচিত। ও সবসময় দলকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করে।’