টেস্ট দল থেকে মাহমুদউল্লাহকে বাদ পড়েছেন গত বছরই। যার ফলে গত বছর লাল বলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও ছিলেন না তিনি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেই ছিলো তার সর্বশেষ টেস্ট। এরপর আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দলে মাহমুদউল্লাহকে না রাখলেও শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট দলে তাকে বিবেচনা করা হতে পারে। নির্বাচকদের ভাবনাটা তেমনই।
শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য বুধবার জাতীয় দল ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও হাসান মাহমুদের ফিটনেস রিপোর্ট এখনও হাতে না পাওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। তবে ২/১ দিনের মধ্যেই দল ঘোষণা করা হবে বলে জানালেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। ওই দুইজনের রিপোর্ট পাওয়া না গেলেও মুশফিকের রিপোর্ট ইতিবাচক। আঙুলের চোট কাটিয়ে উঠে পুরোপুরি ফিট মুশফিকুর রহিম।নিউজিল্যান্ড সফরে পিঠে টান লাগায় ওয়ানডে সিরিজ শেষে তামিম ইকবালের সঙ্গে দেশে ফেরেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। অন্যদিকে উরুতে টান লাগায় শেষ টি-টোয়েন্টিতে ছিটকে যান টাইগার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল বাশার বলেছেন, ‘আমরা এখনো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও হাসান মাহমুদের ফিটনেস রিপোর্ট হাতে পাইনি। তবে মুশফিক (মুশফিকুর রহিম) ফিট হয়েছে। রিপোর্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে ২/১ দিনের মধ্যেই আমরা দল ঘোষণা করবো।’
দলে পেসারদের আধিক্য বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন হাবিবুল বাশার। কেননা সফরে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে কোনো নেট বোলার দিবে না স্বাগতিক ক্রিকেট বোর্ড। সেকারণেই আসন্ন এই সফরের স্কোয়াডে ছয় পেস বোলার অন্তর্ভুক্তির কথা ভাবছেন নির্বাচকরা, ‘ওখানে (শ্রীলঙ্কা) গিয়ে নেট বোলার পাওয়া যাবে না। সেকারণে স্কোয়াডে ছয় পেস বোলার রাখার চিন্তা করছি। সবমিলিয়ে দলটা কিছুটা বড় হবে। কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে লম্বা সময় ওখানে থাকতে হবে। যার কারনে দলটি কিছুটা বড়ই করা হবে।’ গত বছর কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে শ্রীলঙ্কা সফর দুই দফা পিছিয়ে গিয়েছিল। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১২ এপ্রিল লঙ্কার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার কথা তামিম-মুশফিকদের। সিরিজের প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ২১ এপ্রিল ও দ্বিতীয়টি ২৯ এপ্রিল।