My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


বড় সংগ্রহের আশা বাংলাদেশের

দুইশর আগে ৫ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশ ইনিংসের হাল ধরলেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের ৪৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি আশা দেখাচ্ছে বড় সংগ্রহের। চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ২৪২ রান তুলে প্রথমদিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা।

সাকিব ৩৯ ও লিটন ৩৪ রানে অপরাজিত আছেন। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে খেলা হয়েছে পুরো ৯০ ওভার। ৩ উইকেট নিয়েছেন ক্যারিবিয়ান বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকেন।দিনের সর্বোচ্চ ইনিংস সাদমান ইসলামের। তার ৫৯ রানের ইনিংসটা হতে পারত আরও বড়। তিন তিনটি অক্ষত রিভিউ থাকতেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাননি তিনি।

ননস্ট্রাইকে থাকা অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের সমর্থনও পাননি তরুণ ওপেনার। ফিফটি পেরিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয়েছে। বাঁহাতি ওপেনারের ১৫৪ বলের ইনিংসে চারের মার ছয়টি।সাদমান ফেরার পর মুশফিকও টিকে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। সম্ভাবনা জাগানো ইনিংসটি শেষ হয় ৩৮ রানে। দলের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে মি. ডিপেন্ডেবল যখন আউট হন, স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১৯৩।

প্রথম সেশনে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেশনে পড়ে দুই উইকেট। তৃতীয় সেশনে উইন্ডিজের একমাত্র শিকার মুশফিক। শেষ সেশনে এসেছে ১০২ রান।তার আগে ফেরেন মুমিনুল হক। ওয়ারিকেনের বলেই শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক। ৯৭ বল খেলে নামের পাশে যোগ করে যান ২৬ রান।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঘের সকালে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল। টাইগার ওপেনার ৯ রান করে বোল্ড হন পেসার কেমার রোচের বলে।শুরুতে উইকেট হারালেও সাদমান ও নাজমুল হোসেন শান্তর দৃঢ়তায় পঞ্চাশ পেরোয় বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে টাইগাররা তোলে ২ উইকেটে ৬৯।

লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার কিছু আগে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে যান শান্ত। তরুণ ব্যাটসম্যান করে যান ২৫ রান।তামিম যখন আউট হন, স্বাগতিকদের সংগ্রহে ২৩ রান। শান্ত ফেরেন ৬৬ রানের মাথায়। মুমিনুল আউট হন দলের রান একশ পেরিয়ে গেলে। ১৫ রানের ব্যবধানে সাদমানও ফিরে গেলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ অবশ্য ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন সাকিব-লিটন মিলে।

মন্থর উইকেটে পেসারদের জন্য তেমন কিছুই নেই। স্পিন ফাঁদই তৈরি করা হয়েছে চট্টগ্রামে। যথার্থ কারণেই বাংলাদেশ দলে চার স্পিনার।সাকিব-লিটনের দায়িত্ব পড়ে থাকল দ্বিতীয় দিনের জন্য। দুজনই শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। লড়াকু একটা সংগ্রহ এনে দিতে পারলে বোলারদের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।