My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে শিক্ষা নিয়েছে বাংলাদেশ

দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে আজ দুপুরে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। আগামী ২১ এপ্রিল পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াটওয়াশ হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড সফরটিও ভালো যায়নি তামিম-মুশফিকদের। ফলে লঙ্কান সিরিজটি মুমিনুলের দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে তার দল শিক্ষা নিয়েছে। ওই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে লঙ্কাতে ভালো করতে মুখিয়ে পুরো দল।

শ্রীলঙ্কায় গিয়ে এখন অব্দি ১২টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে মাত্র একটি টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে কলম্বোতে নিজেদের শততম টেস্ট ম্যাচটি জিতেছিল মুমিনুলরা। এছাড়া বাকি টেস্টগুলোর মধ্যে সাতটিতেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। অবশ্য ২০১৩ সালে গলে একটি টেস্ট ড্র করেছিল রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। স্বাভাবিক ভাবেই খুব সহজ হবে না শ্রীলঙ্কা সফর। 

যদিও খালেদ মাহমুদ সুজন সিরিজে ভালো করা নিয়ে আশাবাদি। বিমানবন্দরে সংবাদ মাধ্যমকে সুজন বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কায় আলাদা পরিবেশে খেলব। আগেও খেলেছি, সেখানকার কন্ডিশনটা আমরা জানি। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে। আমরা যদি আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারি, আমি মনে করি আমরা ক্যাপাবল। তবে শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনের শ্রীলঙ্কা বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি আমরা স্কিলের দিক থেকে পিছিয়ে নেই, ভালো দল। আমরা যদি আমাদের প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখতে পারি, তবে আশা করি ভালো করব।’

নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘অবশ্যই আমরা চাই জিততে। রেজাল্ট কি হবে, সেটি নিয়েও ভাবছি না। আমরা ওখানে সেরা ক্রিকেট খেলতে চাই। যে দল ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। পাঁচ দিনের খেলা এ কারণে সেশন বাই সেশন ধরে এগোতে হবে। চট্টগ্রাম টেস্টে (উইন্ডিজের বিপক্ষে) আমরা চার দিন ডমিনেট করেও হেরে গেছি, এমনটা করতে চাইনা। লম্বা সময় মনোযোগ ধরে রাখতে চাই।’

শ্রীলঙ্কায় ভালো করতে হলে পুরো দলকেই সমান ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে মনে করেন সুজন, ‘দায়িত্ব সবার সমান। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দিয়ে আপনি যখন নামবেন, তখন দায়িত্বটা কেবল সিনিয়রদের নয়। ভালো খেলার দায়িত্ব সবারই। আমাদের সব ক্রিকেটারের মধ্যেই সামর্থ্য আছে। এই জিনিসটা মাথায় নিয়েই খেলতে হবে, পজিটিভ, আক্রমনাত্মক ক্রিকেট। আমি সবসময় পজিটিভ ক্রিকেট খেলার কথা বলি, অ্যাটিচিউড অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’