My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


কেমন গেল ক্রিকেটারদের প্রথম দিনের অনুশীলন

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মাঝে গেল বছর অক্টোবর-নভেম্বরে শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য অনুশীলনে ফেরে বাংলাদেশ।একক অনুশীলন দিয়ে মাঠে ফেরেন মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। এরপর শুরু হয় দলগত অনুশীলনও। তবে ক্রিকেটাররা নিয়মিত অনুশীলন করলেও সে সময় সিরিজ মাঠে গড়ানো নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। কোয়ারেন্টাইন জটিলতায় ঝুলে ছিল সিরিজটির ভাগ্য।

শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর ফেরা হয়নি বাংলাদেশের। এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিজ উদ্যোগে আয়োজন করে দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে মাঠের লড়াইয়ে ফেরেন তামিম-মুশফিকরা। এরপর অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ।

ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সফল ভাবে আয়োজনের পর এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে ৩১৩ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে লাল-সবুজের দল। সিরিজে অংশ নিতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও এসে পৌঁছেছে উইন্ডিজরা।

আসন্ন এই সিরিজকে সামনে রেখে তাই রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের অনুশীলন। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে অনিশ্চয়তা থাকলেও এই সিরিজ যে হচ্ছে তা নিশ্চিত। কারণ ক্যারিবীয় দলের বাংলাদেশে পা দেয়ার দিনই সকাল ১০টায় অনুশীলন শুরু হয় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।

প্রথম দিনের অনুশীলনে যোগ দিতে পারেননি টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ও অফ স্পিনার নাঈম হাসান। তাদের না থাকার কারণ মূলত চোট। টেস্ট দলপতির ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের চোট এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি। নাঈমও চোট পেয়েছেন ডান হাতের ছোট আঙুলে। আজ তার আঙুলে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার হয়েছে।

এ দুজন বাদে ওয়ানডে দলের ২৪ ক্রিকেটার ও টেস্ট দলের ১৮ জনের সবাই অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকরা যোগ দিলেও কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে যোগ দিতে পারেননি নতুন ব্যাটিং কোচ জন লুইস ও পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন।

প্রথম দিন হালকা গা গরম শেষে স্কোয়াডের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই চলে যান ইন্ডোরের মাঠে। সে সময় স্টেডিয়ামের মূল মাঠে রায়ান কুকের সঙ্গে ফিল্ডিং অনুশীলনে ব্যস্ত ৬ ক্রিকেটার। খানিক পর যোগ দেন সৌম্য সরকার এবং মোহাম্মদ মিঠুনও।

৮ ক্রিকেটার মূল মাঠে অনুশীলন করাকালীন ইন্ডোরের মাঠে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলনে ব্যস্ত তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানরা। চারটি নেটে অনুশীলন করেন ব্যাটসম্যানরা। এক নেটে ছিলেন স্পিনাররা, আরেকটিতে পেসাররা এবং অন্য আরেকটি নেটে থ্রো-ডাউনের বিপক্ষে ব্যাটিং করেছেন মুশফিক-সাকিব-তামিম-মাহমুদউল্লাহরা।

টেস্ট স্কোয়াডের পেসার আবু জায়েদ রাহি, খালেদ আহমেদরা আরেক নেটে একক বোলিং অনুশীলনও করেছেন। সে সময় পুরো অনুশীলনের তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন ডমিঙ্গো, অন্তর্বর্তীকালীন স্পিন বোলিং কোচ সোহেল ইসলাম, ট্রেনার নিক লি ও ফিজিও জুলিয়ান ক্যালোফাতো।

এদিন অবশ্য অনুশীলনে অনেকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন নবীন দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। হাসান তো সব আলো প্রায় নিজের দিকেই কেড়ে নিয়েছেন। বল হাতে অনুশীলনেই মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ছাড়াও সাকিবকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিলেন তিনি।

অন্যদিকে শরিফুল ইসলামের ভেতরে আসা বল ছাড়তে গিয়ে স্টাম্পও ভেঙ্গেছে তামিমের। সবার আগে ব্যাটিং সেরেছেন ওয়ানডে দলপতি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিব অনুশীলন শুরু করেছিলেন বোলিং দিয়ে।

প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, 'অবশ্যই অনেক বেশি এক্সাইটেড। অনেক দিন পরে সবাই একসাথে ন্যাশনাল ক্যাম্পে আবার জয়েন করছি। খুব ভালো একটা প্র্যাকটিস সেশনও হইছে। এবং এনজয় করছি সবার সাথে একসাথে অনেক দিন পর দেখা হইলো। যদিও লাস্ট টুর্নামেন্টটা আমরা একসাথে ছিলাম বাট একসাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করাটা ডিফারেন্ট ফিলিং। অনেক বেশি উপভোগ করছি'।

'অবশ্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছর পর আমরা খেলবো কিন্তু আমি মনে করি প্রিপারেশন মোটামুটি ভালোই হইছে কারণ লাস্ট একটা টুর্নামেন্ট খেলছি, প্রেসিডেন্টস কাপও আমরা সবাই অলমোস্ট খেলছি। তাই প্রস্তুতি মোটামুটি ভালোই হয়েছে তারপরও অনেক দিন পরে। প্র্যাকটিসে আমরা ওই জিনিসগুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা করছি। আমাদের প্র্যাকটিস ম্যাচও হবে। সো এই প্র্যাকটিস ম্যাচগুলো যদি আমরা ভালোভাবে করতে পারি তাহলে আমার মনে হয় খুব বেশি একটা প্রবলেম হবে না' আরও যোগ করেন তিনি।

  •