১৫ মার্চ থমকে গিয়েছিল পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। ফের যখন প্লে অফের খেলা শুরু হলো চলতি মাসে। ততদিনে বদলে গেছে অনেক কিছু। করোনায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সব। করাচি কিংসের কোচ থাকা ডিন জোন্স চলে গেছেন পরপার। আকস্মিক এক হার্ট অ্যাটাকে।
পিএসএলে এত বদলের মধ্যে বদলি হিসেবে জায়গা হয়েছিল বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালেরও। ক্রিস লিনের পরিবর্তে যোগ দিয়েছিলেন লাহোর কালান্দার্সে। প্রথমবারের মতো দলকে ফাইনালে তুলতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তবে মূল মঞ্চে যেন হলো না ঠিকঠাক।
স্লো উইকেট, অপ্রত্যাশিত বাউন্সে ঠিকমতো ব্যাটে বলই লাগাতে পারছিলেন না তিনি। তার দলেরও কোনো ব্যাটসম্যানও। শেষে বাবর আজমের কৃতিত্বে লাহোরকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পিএসএলের শিরোপা জিতেছে করাচি কিংস।
তামিম প্রথম ১০ রান করতে খেলেন ২২ বল। যখন আউট হয়েছেন, তখন স্কোরটা আরেকটু ভালো দেখাচ্ছিল তার। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ বলে তামিম করেছেন ৩৫ রান। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ককে এই রান করতে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে সেটা আসলে বোঝা যাবে অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকালেই।
বলের চেয়ে বেশি রান করতে পেরেছেন কেবল তামিমের ওপেনিং সঙ্গী ফখর জামান ও নয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা শাহিন শাহ আফ্রিদি। যথাক্রমে তাদের রান ২৪ বলে ২৭ ও ৪ বলে ১২। ব্যাটিংয়ের এমন দশায় লাহোরের রানটাও তাই খুব বড় হয়নি। ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানে করেই থামতে হয় তাদের।
করাচির পক্ষে সমান দুইটি করে উইকেট পান ওয়াকাস মাকসুদ, আরশাদ ইকবাল ও উমাইদ ইউসুফ। লাহোরকে জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই বাবর আজমের দৃষ্টিনন্দন দুই কাভার ড্রাইভ বলে দিচ্ছিলো ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচটা সহজভাবেই জিততে যাচ্ছেন তারা। শেষ পর্যন্ত একেবারেই সহজে না হলেও জয়টা তাদের এসেছেই। বাবর আজমের কৃতিত্বেই এসেছে সেটা।
ব্যকরণ মেনে তার হিসাব কষা ব্যাটিংয়ে ৮ বল আগেই জয় পেয়েছে করাচি। ৭ চারে ৪৯ বলে ৬৩ রান করেছেন বাবর। শেষদিকে হারিস রউফের টানা দুই বলে উইকেট ম্যাচে কেবল উত্তেজনাই বাড়িয়েছে। কাজের কাজ তেমন কিছু হয়নি। বাবর আজমরা জিতেছেন তাদের প্রথম শিরোপা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
লাহোর কালান্দার্স: ১৩৮/৭ (ওভার ২০) ; (তামিম ইকবাল ৩৫, ফখর জামান ২৭, উমাইদ আসিফ ২/১৮)
করাচি কিংস : ১৩৫/৫ (ওভার ১৮.৪) ; (বাবর আজম ৬৩* কেশরিক ওয়ালটন ২২, হারিস রউফ ২/৩০)