অবিশ্বাস্য, অসাধারণ এক জয়। যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান পারভেজ ইমনের ব্যাটে জিতলো ফরচুন বরিশাল। রাজশাহীর দেওয়া ২২১ রান ১১ বল হাতে রেখেই ২ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় বরিশাল। এই জয়ে চার পয়েণ্ট নিয়ে এখনো তালিকার সবার নিচে তামিমের দল।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ২২০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা দারুন করে বরিশালের দুই ওপেনার। দলীয় ৪৪ রানে ফিরে যান সাইফ। যাওয়ার আগে ১৫ বলে ২৭ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ইমনকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক তামিম মিরপুরে ঝড় তোলেন। ৩৭ বলে ৫৩ রান করে তামিমের ঝড় থামলেও, থামেনি ইমনের ঝড়। দূর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হওয়ার আগে তামিম ৩৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান।
অন্যদিকে আফিফকে সঙ্গী করে ইমনের ঝড় চলতেই থাকে। ইনিংসের ১১ বল আগে ইমনের হাত থেকেই জয়সূচক রান আসে বরিশালের। ততোক্ষণে ইমন ৪২ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক হয়ে যান। ৯ চার ও ৭ ছক্কায় ইমন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি সাজিয়েছেন। অন্যপ্রান্তে ১৬ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন।রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে ৪০ রান খরচায় একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন সাইফউদ্দিন।টস হেরে আগে ব্যাটিং করা মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর দূর্দান্ত শুরু করে। রাজশাহীর দুই ওপেনার আনিসুল ইমন ও নাজমুল হোসেন শান্তর দূর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বরিশালের বিপক্ষে ২২০ রানের স্কোর গড়েছে রাজশাহী। দুই ওপেনারের দারুন শুরুতে ১২ ওভারে ১৩১ রান জমা করে স্কোরবোর্ডে। ৩৯ বলে ৬৯ রান করে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরির দেখা পান আনিসুল। ৭ চারও ৩ ছক্কায় আনিসুল নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।
আনিসুলের বিদায়ের পর তিন নম্বরে নামা রনি তালুকদার নেমেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। ১২ বলে ২ ছক্কায় ১৮ রান করে আউট হন তিনি। রনির বিদায়ের পর ফিরে দ্রুত ফিরে যান আশরাফুলের জায়গায় ব্যাটিং করা মেহেদী হাসান। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। মিডল অর্ডারের ব্যার্থতার দিনে আজকে সব আলো ছিল নাজমুলকে ঘিরে! টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরি এসেছে বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। ৫২ বলে ৪ চার ও ১০ ছক্কায় নাজমুল নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৫ বলে ১১ ছক্কা ও ৪ চারে নাজমুল থামেন ১০৯ রানে। কামরুলের একটি বল কভারে খেলতে গিয়ে তামিমের হাতে তালুবন্দি হন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী।বরিশালের বোলারদের মধ্যে ৪৯ রান খরচায় চার উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার কামরুল ইসলাম। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে ৪ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন এই পেসার। এছাড়া ৪৩ রান খরচায় সুমন খান নেন দুটি উইকেট।