My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


যে কোন উইকেটে খেলতেই আত্মবিশ্বাসী আল-আমিনরা

ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আগামী জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেমন করবে বাংলাদেশ, সেটির আলোচনা সর্বত্র। তবে উপমহাদেশে বাইরের দেশগুলোকে স্পিনিং উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করার অভিজ্ঞতা উপমহাদেশের দেশগুলোর আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তেমনই কিছু করার পরিকল্পনা বাংলাদেশের! জাতীয় দলের পেসার আল-আমিন অবশ্য উইকেট নিয়ে ভাবছে না, যে কোন উইকেটেই ভালো করতে আত্মবিশ্বাসী তারা।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমকে আল আমিন বলেছেন, ‘উইকেট স্পিনিং হবে নাকি পেস সহায়ক হবে- তা টিম ম্যানেজমেন্ট চিন্তা করবে। যেটাই হোক, আমরা পেস বোলিং ইউনিট গত ১-২ বছর ধরে খুব ভালো করছি। তো যারাই খেলবে, যারাই সুযোগ পাবে তারা যদি সেরাটা দিতে পারে, তাহলে ইন শা আল্লাহ ভাল কিছু হবে।'সব রকমপরিস্থিতিতে পেসারদের মানিয়ে নেওয়ার স্ব-ক্ষমতা রয়েছে বলে জানালেন আল আমিন, ‘সবকিছু আসলে টিমের প্ল্যানিংয়ের ব্যাপার। যদি স্লো উইকেট হয়, একটা বা দুইটা পেস বোলার খেলে। তখন আসলে একধরণের প্ল্যান থাকে। যখন স্পিনাররা অ্যাটাক করে, তখন আমাদের ডিফেন্সিভ যেতে হয়। যখন পেস সহায়ক উইকেট হয়, তখন পেসাররা অ্যাটাক করে, স্পিনাররা ডিফেন্সিভ। আমাদের সব রকম পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’

করোনার কারনে বছরের বেশিরভাগ সময়ই মাঠের বাইরে ছিলেন ক্রিকেটাররা। অক্টোবরে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরে বাংলাদেশ। এরপর ৫ দল নিয়ে আয়োজিত হয় টি-টোয়েন্টি কাপ। দুটি টুর্নামেন্ট খেলা আল আমিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য এটাকে যথেস্ট প্রস্তুতি মনে করছেন, ‘করোনার কারনে অনেক দেশে ভালোভাবে ক্রিকেট হয়নি, কিন্তু আমাদের ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ। কিছুদিন আগে একটা ওয়ানডে টুর্নামেন্ট হয়েছে, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হল। মাঝখানে আবার গ্যাপ আছে, সামনে আমরা অনুশীলন শুরু করব। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় ওভারঅল প্রস্তুতিটা ভালোই আছে। 'সিরিজ শুরুর আগে কয়েক সপ্তাহের অনুশীলনে ঘাটতি পূরণ হবে বলে মনে করেন আল আমিন, ‘আমার কাছে মনে হয় শেষ কয়েকটা মাস আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। সবাই একসাথে অনুশীলন করার পর প্রস্তুতিটা পারফেক্ট হবে বলে আমার বিশ্বাস।’