সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের সবচেয়ে বড় শত্রু ছিল চোট। ইতিহাস গড়া ব্রিসবেন টেস্টে দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে একাদশের বাইরে রেখেই লড়তে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। এমনকি সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই কুঁচকির ইনজুরিতে পরেছিলেন নবদ্বীপ সাইনি। কিন্তু চোট নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও বোলিং করেছিলেন তিনি।
নিজের স্পেলের অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলটি করার সময় কুঁচকিতে চোট পেয়েছিলেন সাইনি। ঘটনাটি নিয়ে আফসোসের সীমা ছিলোনা ভারতীয় শিবিরে। কারণ ওই বলে অসি তারকা ব্যাটসম্যান মার্নাস লাবুশেনের উইকেটটি পেতে পারতেন সাইনি। তার বল লাবুশেনের ব্যাটে লেগে স্লিপে ক্যাচ যায়। কিন্তু অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে সেই ক্যাচ নিতে পারেননি ।উল্টো সেই বলে উইকেট না পেয়ে নিজেই ইনজুরির কবলে পরেছিলেন সাইনি।
এক পর্যায়ে সিরিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে একজন বোলার কম নিয়ে মোকাবিলা করার শঙ্কা জেঁকে বসেছিলো ভারতীয় দলে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে রাহানে যখন সাইনিকে বোলিং করার কথা জিজ্ঞাসা করেছিলেন ব্যথা নিয়েও তাই তখন না বলতে পারেননি তিনি। আহামরি কিছু করতে না পারলেও ৫ ওভারের স্পেলে একটি মেডেন ওভার তুলে নিয়েছিলেন তিনি। এমনকি
এ প্রসঙ্গে সাইনি বলেন, 'অজিঙ্কা ভাই যখন আমাকে ইনজুরি নিয়ে বোলিংয়ের কথা জিজ্ঞাসা করেছিলো আমার হ্যাঁ বলতেই হতো। আমি ভালো ছিলাম এবং হঠাৎ ইনজুরিতে পরেছি। আমি ভাবছিলাম এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে আমার সঙ্গেই এমন কেন হলো। যেখানে লম্বা সময় পরে এমন বড় ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি।'
আমি শুধু আমার সাধ্য অনুযায়ী ইনজুরি নিয়েই দলকে সাহায্য করতে চেয়েছি। আমি জানতাম এমন বড় মঞ্চ আমার কাছে আর নাও আসতে পারে। তাই অধিনায়ক আমাকে যখন বলেছে তখন ব্যথা নিয়েও যতটুকু পেরেছি তা করেছি
ব্রিসবেন দূর্গ জয়ের মুহূর্তে উইকেটে ঋষব পান্তের সঙ্গে ছিলেন সাইনি। আর এই বোলারের হার না মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে তাঁর দলে ফলাফলেও। আর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলতে হলে কঠিন মানসিক দৃঢ়তা প্রয়োজন বলে ভাবেন এই পেসার। একই সঙ্গে দেশে ফিরে তিনি জানিয়েছেন যে ইতোমধ্যেই চোট থেকে সেরে উঠছেন।
সাইনি আরও বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ায় ভালো করতে মানসিকভাবে শক্তিশালী হতেই হবে। কারণ তারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হাল ছাড়েনা। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে অধিনায়ক ও রোহিত ভাইয়ার সহায়তা পেয়েছি। আমি ইনজুরি থেকে সেরে উঠছি এবং আশা করি দ্রুতই ফিট হতে পারবো।'
অস্ট্রেলিয়াতে সফল মিশন শেষে ঘরের মাঠে ভারতের পরবর্তী প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। চেন্নাই টেস্ট দিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারী ইংলিশ চ্যালেঞ্জ শুরু হবে ভারতের। সফরে চারটি টেস্ট পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ও ৩ টি ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দল দুটি। চেন্নাই দিয়ে শুরু হওয়া লম্বা লড়াই শেষ হবে পুনেতে আগামী ২৮ মার্চে ওয়ানডে সিরিজের মাধ্যমে।