My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে চোখ খালেদের

ইনজুরির কারনে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন খালেদ আহমেদ। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে নিউজল্যিান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন। প্রায় এক বছর মাঠে থাকার পর চলতি বছরের মার্চে প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। আবারো ভাগ্য বিড়ম্বনা! করোনার কারনে ক্রিকেট বন্ধ হওয়ার পর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ খেলেছেন। তামিম একাদশের হয়ে দুই ম্যাচে খুব ভালো পারফরম্যান্স হয়নি তার। শফিউলের ইনজুরিতে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সুযোগ পাওয়া খালেদ, চেয়ে আছেন জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দিকে।

খালেদ জাতীয় দলের হয়ে দুটি টেস্ট খেলেছেন। অবশ্য ১৮টি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতাও আছে তার। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে খালেদের অভিষেক হয়েছিল খুলনা টাইটানসের হয়েই। ২০১৭ সালের বিপিএলে প্রথমবার কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে প্রথমবার বোলিং করেছিলেন। ১৮ ম্যাচ বোলিং করে নিয়েছেন ১৯টি উইকেট। ২০১৯ বিপিএলে খালেদ খেলেছিলেন চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ফিরলেও খালেদের ভাবনায় টেস্ট সিরিজ, ‘অবশ্যই টেস্ট নিয়ে আমার পরিকল্পনা আছে। আমি ইনজুরির কারনে অনেকদিন দলের বাইরে ছিলাম। এই মুহুর্তে আমি পুরোপুরি প্রস্তুত যে কোন পর্যায়ের ক্রিকেট খেলতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দলে থাকতে হলে, হয়তো এখানে কিছু করতে হবে। চেষ্টা করবো ম্যাচে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার।’

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে প্রথম দুই ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন শফিউল। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দুই উইকেট নিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ছিলেন উইকেট শূন্য। কিন্তু পিঠের ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন এই পেসার। তার বদলে সুযোগ পাওয়া খালেদ সুযোগটা কাজে লাগাতে মুখিয়ে আছেন, ‘সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে। সব সময় তৈরি থাকি, তো আমি তৈরিই ছিলাম। বাসায় যখন ছিলাম, অনুশীলনের মধ্যেই ছিলাম। আশা করি কোন সমস্যা হবে না এবং পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে পারব।’কার বদলি হিসেবে সুযোগ পাওয়ার পর পারফরম্যান্সে এর কোন প্রভাব পড়তে পারে কিনা এমন প্রশ্নে খালেদ বলেছেন, ‘এটাকে আমি তেমন কোন সমস্যা দেখি না। কারো ইনজুরিতে সুযোগ পাওয়া খারাপ কিছু না। আমি চেষ্টা করবো সুযোগটা কাজে লাগাতে।’