My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ ইমার্জিংয়ের ৪-০

সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল আগের ম্যাচেই। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেটি বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের জন্য ছিল মিশন ৪-০। এই মিশনে সফল সাইফ হাসানের দল। মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিতে শেষ ম্যাচেও আয়ারল্যান্ড উলভসকে (আয়ারল্যান্ড ‘এ’) হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে আইরিশদের ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ১২৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলা জয় জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল। বাকি সবগুলো ম্যাচেই জিতেছে বাংলাদেশ।

শেষ ম্যাচে দারুণ লড়েছে আইরিশরা। ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল সফরকারীরা। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ১১ রান। কিন্তু রেজাউর রহমান রাজার করা ওভার থেকে ৫ রানের বেশি নিতে পারেনি আইরিশরা। ৫ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে মাঠে ছাড়েন সাইফ, জয়, তৌহিদ হৃদয়রা।

টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে জয়ই কেবল বড় ইনিংস খেলেন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের ১৩৫ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় করা ১২৩ রানের সুবাদে ৪৯.৪ ওভারে সব কটি উইকেটে হারিয়ে ২৬০ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে লড়াই করলেও জয়ের বন্দরে পৌঁছানো হয়নি আইরিশদের। স্টিফেন ডোহেনির ৮১ রানের পরও ২৫৫ রানে থামে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আয়ারল্যান্ডের। দলীয় ৭ রানেই ওপেনার জেরেমি লাউলরকে হারায় তারা। যদিও শুরুর চাপ কাটিয়ে তোলেন স্টিফেন ডোহেনি ও মার্ক অ্যাডায়ার। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন এই দুই ব্যাটসম্যান।

৪৫ রান করা অ্যাডায়ারের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এরপর শুরু হয় আইরিশদের নিয়মিত উইকেট পতন। শফিকুল ইসলাম, তানভির ইসলাম, সাইফ হাসানদের বোলিংয়ের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারছিলেন না আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। ব্যতিক্রম কেবল ডোহেনি। ৯৯ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ৮১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৩৫ রান করেন নেইল রক। সাইফ ৩টি এবং শহিদুল ও তানভির ২টি করে উইকেট নেন।

এরআগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ভালো শুরু না পেলেও মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে চাপ কাটিয়ে ওঠে। অন্যরা দলের হয়ে ব্যাট না চালাতে পারলেও বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই সদস্য দলকে পথ দেখাতে থাকেন। ১২৩ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন জয়। আনিসুল ইসলাম ইমন ৪১ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩৩ রান করেন। অ্যাডায়ার ৩টি এবং প্রিটোরিয়াস ও টেক্টর ২টি করে উইকেট নেন।