দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। আসছে মাসের ২০ তারিখে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে মাঠে গড়াবে বহুল প্রত্যাশিত দ্বিপাক্ষিক এই সিরিজটি। এই লক্ষ্যে ১০ জানুয়ারি ঢাকায় পা রাখবে সফরকারী ক্যারিবিয়রা। প্রায় ১ মাসের বাংলাদেশ সফরে পাঁচবার করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে উইন্ডিজদের।
দলটির প্রথম দফার করোনা টেস্ট হবে একেবারে প্রথম দিন। অর্থাৎ ঢাকায় এসেই প্লেয়ার ও টিম ম্যানেজমেন্টকে করোনার জন্য নমুনা দিতে হবে। দ্বিতীয় পরীক্ষাটি হবে তৃতীয় দিনে, তৃতীয়টি ষষ্ঠ অথবা সপ্তম দিনে, চতুর্থটি সিরিজের মাঝামাঝি। আর পঞ্চম ও শেষটি হবে দেশে ফেরার দুই দিন আগে।তবে অনুশীলন শুরু করতে পারবে চতুর্থ দিন থেকেই। চতুর্থ-সপ্তম দিন পর্যন্ত ভেন্যুতে এসে নিজেদের মধ্যে অনুশীলন সারতে। তবে সেটা একান্তই নিজেদের মধ্যে। বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোভিড সতর্কতার অংশ এই সময়েরর অনুশীলনে তারা কোন নেট বোলার বা সাপোর্ট স্টাফ পাচ্ছে না। কেননা নেট বোলার ও সাপোর্ট স্টাফদেরও করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যারা নেগেটিভ হবেন, তারা অষ্টম দিন থেকে ক্যারিবিয়দের নেটে বোলিং করতে পারবেন। অর্থাৎ অষ্টম দিনে গিয়ে নেট বোলার পাবে সফরকারী দলটি।
মঙ্গলবার এতথ্য দিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন,‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের মোট পাঁচবার করোনা টেস্ট হবে। প্রথম দিন, তৃতীয় দিন, ষষ্ঠ অথবা সপ্তম দিন, সিরিজের মাঝখানে ও দেশে ফেরার দুই দিন আগে। অনুশীলন শুরু করতে পারবে চতুর্থ দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ওর নিজেদের মধ্যে অনুশীলন করবে। সপ্তম দিনের পরীক্ষা যখন হয়ে যাবে ওদেরকে আমরা ছেড়ে দিব। ওরা তখন নেট বোলার ব্যবহার করতে পারবে, এর আগে না। কেননা আমরা সন্দেহভাজন কাউকে ওদের সংস্পর্শে আসতেও দিতে পারি না। নেট বোলারওদেরও একইভাবে করোনা পরীক্ষা হবে। তাদের আমরা বাইরে রাখব। সপ্তম দিনের পর ওরা ভেন্যুতে অনুশীলনের সময় নেট বোলার পাবে।’
১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফরে এসে ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) একটি প্রস্তুতিমূলক ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক ও সফরকারী দল।এরপর ২০ জানুয়ারি মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গড়াবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। একই ভেন্যুতে ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। আর ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌ্ধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।ওয়ানডে সিরিজ শেষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে ২৮-৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ৪ দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। ৩-৭ ফেব্রুয়ারি সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। আর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট গড়াবে ১১-১৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।