গত কয়েক সিরিজ ধরে রাসেল ডমিঙ্গোর তত্ত্বাবধানে প্রত্যাশিত সাফল্য পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টে হারের পর ডমিঙ্গোরকে নিয়ে সমালোচনা হয়। সেই আলোচনা ডালপালা মেলেছে নিউজিল্যান্ডের ব্যর্থতার পর। গুঞ্জনও উঠে চাকরি থেকে বরখাস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। আপাতত সেই পথে হাটছে না না বিসিবি। রবিবার তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান।
কোচের ভুলের থেকে ক্রিকেটারদের ভুলগুলোই বেশি মনে হচ্ছে বোর্ড প্রধানের, ‘এখানে ২-৩টা ব্যাপার আছে। প্রথম কথা হচ্ছে কোচের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করবো কি করবো না! এটা একটা ইস্যু। দ্বিতীয়টা হচ্ছে যদি আমরা নবায়ন না করি তাহলে বিকল্প কিছু থাকতে হবে। এই করোনাকালে ও বিশ্বকাপের আগে এমন কোন কিছু আমাদের মাথায় নেই। এটাই বাস্তবতা। এখন আমরা (বিসিবি) জড়িত (দলের সঙ্গে) হতে শুরু করেছি। আমরা বলতে ক্রিকেট বোর্ড সরাসরি একটু জানার চেষ্টা করছে। কি হচ্ছে কেন হচ্ছে!’খেলোয়াড়দের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বোর্ড সভাপতি বলেছেন, ‘সমস্যা হচ্ছে হার-জিত বড় কথা না। আজকে আমাদের ব্যাটিংটা দেখুন। ওরা কয়টা ভালো বল, দারুণ ফিল্ডিং করে আমাদের উইকেট নিয়েছে? শট নির্বাচনগুলো কি ঠিক ছিলো? এখানে যত ভালো কোচই আনেন, লাভ তো নেই। এখানে কোচের কথাটা পরে। আগে আমাদের খেলোয়াড়দের নিয়ে বসতে হবে, ওদের চিন্তা ধারাটা কী?’ ডমিঙ্গোর অধীনে সাফল্যের তুলনায় ব্যর্থতার মাত্রাই বেশি। দায়িত্ব নেওয়ার শুরুতেই ঘরের মাঠে নবীন আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট হারে বাংলাদেশ। এরপর ভারত ও পাকিস্তানে
ডমিঙ্গোর অধীনে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩১ ম্যাচ খেলে ১৮টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ দল। জয় ১৩টিতে। দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট হজম করে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ধাক্কা। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে হার। এরপর ভারত ও পাকিস্তান সফরে গিয়েও বাজে ভাবে হারতে হয়েছে ডমিঙ্গোর শিষ্যদের। তবে দিল্লিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের একটি ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য ডমিঙ্গোর অধীনে খেলা বাংলাদেশ দলের। ওই সিরিজের পর জিম্বাবুয়েকে এবং খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। কিন্তু জিম্বাবুয়েকে টেস্ট ম্যাচ হারাটা আরেকটি বড় ব্যর্থতায় হয়ে দাঁড়ায়। এরপর খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দেশের মাটিতে দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। এরপর নিউজিল্যান্ডে গিয়ে সীমিত ওভারের দুটি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে দুই টেস্টের একটি ড্র এবং একটি ম্যাচ হারে সফরকারী বাংলাদেশ।