অসম্ভবকে সম্ভব করে পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাজটি সম্ভব করে ফেলেছে খর্বশক্তির উইন্ডিজ। নবীনদের নিয়ে গড়া দলটিই স্বাগতিকদের বুঝিয়ে দিলো মাঠের ক্রিকেটই আসল কথা। ১৪৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি কেউ, সেটাই মায়ার্স করে দেখিয়ে দিয়েছেন। তার ২১০ রানের ইনিংসের সুবাধে ৩ উইকেটের জয় পায় সফরকারীরা। স্বাগতিকদের হতবাক করে দিয়ে জয়ের উল্লাসে মাতছেন সফরকারীরা। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক এমন হারকে অবিশ্বাস্য বলছেন।
৩৯৫ রানের বিশাল টার্গেটকে মামুলি বানিয়ে ফেলেছেন মেয়ার্স। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান চেস করার রেকর্ড এটি। অথচ ম্যাচের তৃতীয় দিন তাইজুল জানিয়েছিলেন এই উইকেটে ২৫০ রান যথেস্ট! দুইদিন পর ম্যাচ হেরে মুমিনুল বলছেন এমন হার অবিশ্বাস্য, ‘এমন হার আসলেই অবিশ্বাস্য। কিন্তু এটাই গোল বলের খেলা। ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য অনেক কিছুই হয়ে যায়। প্রত্যাশায় ছিল না এমন কিছু হবে। আমার কাছে মনে হয় বোলাররা ভালো জায়গায় বল করতে পারেনি। ওদের দুই ব্যাটসম্যান খুব ভালো ব্যাটিং করেছে।’কাইল মেয়ার্সের প্রংশসা করতে গিয়ে মুমিনুল বলেছেন, ‘অসাধারন ব্যাটিং করেছে। এখানে এভাবে ব্যাটিং করা সহজ নয়। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ৪০০ তাড়া করা, নিজে ২০০ করা। অসাধারণ।’
রবিবার ম্যাচের পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে একটি উইকেটও ফেলতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। ফলে কাইল মায়ার্স ও এনক্রুমা বোনার মিলে চাপ বাড়াতে থাকে বাংলাদেশ শিবিরে। ক্যারিবীয় দুই ব্যাটসম্যানের দেওয়া সেই চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি স্বাগতিকরা। মুমিনুল অবশ্য কখনোই মনে করেননি ম্যাচটি তারা হেরে যাবেন, ‘কোনো সময়ই আমার কাছে মনে হয়নি। গত চার দিন আমরা দাপট দেখিয়েছি। আজ শেষের দিকে ম্যাচটা হেরে গেছি। আমি চিন্তাও করিনি শেষদিকে ম্যাচটা হেরে যাব।’হারের সবচেয়ে বড় কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক জানালেন, ‘যখন দল হারবে তখন নির্দিষ্ট করে দোষ দিতে পারবেন না। দল হারা মানে সবাই হারা, দল জেতা মানে সবাই জেতা। আমার কাছে মনে হয় না পরাজয়ের নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে। দল যখন হেরেছে, সবাই একসাথে হেরেছি।’
শেষ দিনে উইকেট থেকে স্পিনাররা খুব বেশি টার্ন পায়নি। চট্টগ্রামের উইকেটে যেটা সচরাচর দেখা যায়, তেমন ছিল না উইকেটের আচরণ। মুমিনুল জানালেন ভিন্ন কথা, ‘উইকেটে যথেষ্ট সুযোগ ছিল। আমরা আমাদের সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। বোলাররাও ভালো জায়গায় বল করেছে। সুযোগগুলো যদি কাজে লাগাতে পারতাম। খেলাটা অন্যরকম হতে পারত। এই দুই ব্যাটসম্যানের দুইটা সুযোগ ছিল। কাজে লাগালে মোমেন্টাম বদলে যেত। এই উইকেটে সেট হয়ে গেলে আউট করা কঠিন।’