ডানেডিনের উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে। আর একই উইকেটে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা সহজাত খেলেছেন। সবচেয়ে আগ্রাসী ছিলেন মার্টিন গাপটিল। শুরু থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করা এই ওপেনার হেনরি নিকোলসকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে যান শক্ত ভিত। যে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে অনায়াসেই ৮ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দল।
ট্রেন্ট বোল্টের শুরু ও শেষের ধাক্কায় এলোমেলো বাংলাদেশ। এই পেসারের সঙ্গে আলো ছড়িয়েছেন জিমি নিশাম, ম্যাট হেনরি ও কাইল জেমিসন। শুধু পেস আক্রমণ নয়, স্পিনেও সাফল্য পেয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। তাদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে ৪১.৫ ওভারে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। তবে কিউই বোলারদের সাফল্যে সবচেয়ে বেশি অবদান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে তামিমও সেটাই জানালেন, ‘আমরা ভালো খেলিনি, ভুল শট সিলেকশন ছিল দেখেই ১৩০ রান করেছি। আশা করি সামনের ম্যাচগুলোয় আমরা এমন ভুল আর করবো না। অনেক সফট ডিসমিসাল আমাদের ছিল, এগুলা আমাদের রিপিট করা যাবে না। এখানে ভালো কিছু করতে হলে কমপক্ষে আমাদের ২৭০-২৮০ রান করতে হবে।’
কিউইদের সবচেয়ে সফল বোলার বোল্ট। টপ অর্ডার ও লোয়ার অর্ডার গুঁড়িয়ে দেওয়া বাঁহাতি পেসার ৮.৫ ওভারে ২৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। তামিম নিজেও বোল্টের বলে ভুগেছেন। তামিমও জানালেন সকালে ব্যাটিং করাটা বেশ কঠিন ছিলো, ‘সকালে ব্যাটিং করাটা ডিফিকাল্ট ছিল। সিম হচ্ছিল, সুইং হচ্ছিল। তারপরও আমি মনে করি ভুলটা আমাদেরই ছিলো। আমরা বাজে শট খেলে আউট হয়েছি। ম্যাচে আমাদের ৩-৪টা ডিসমিসাল খুবই সফট ছিল। যেগুলা আমরা আশা করি না। আমি মনে করি ১৩০ রান করার মতো আমাদের টিম না, যতই ডিফিকাল্ট সিচুয়েশন থাকুক না কেনো।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সাত নম্বরে সৌম্যকে খেলানো হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন নম্বরে ফিরিয়ে আনা হয় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে। যদিও এখানে টিম কম্বিনেশনের কারনেই মূলত সুযোগটা পেয়েছেন সৌম্য। তামিম সৌম্যর ব্যাপারে বলেছেন, ‘ সৌম্যকে আমরা সাত নম্বরের রোলে দেখছি। কিন্তু আমরা আজকে যে টিমটা খেলেছি, আমাদের সিক্সথ বোলার কেউ ছিল না। রিয়াদ ভাই তার ব্যাক ইনজুরির কারণে বল করতে পারছেন না, হয়ত এই পুরো সিরিজে বল করতে পারবেন না। তো ওই কম্বিনেশনে আজকে সৌম্য খেলেছি, ওই হিসাবে তিন নম্বরে ব্যাটিং করার জন্য ওয়েল সুটেড সৌম্যই ছিল।’