My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


শ্রীলঙ্কাকে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের মিশনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৪৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা।

শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামলেও সূচনাটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৭৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেছেন গত ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই।  মিরপুর স্টেডিয়ামে শুরুর ওভারটা দেখে স্বস্তি মিলেছিল। কয়েকটি বাউন্ডারি ও নো বলের সুবাদে ১৫ রান তুলে ফেলেছিলেন তামিম। উদানার চতুর্থ বলে পয়েন্টে ক্যাচও দিয়েছিলেন! ভাগ্য ভালো সেটি নিতে পারেননি লঙ্কান ফিল্ডার।

তবে পরের ওভারে প্রথম বলেই তাকে লিগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে দেন চামিরা। আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি যদিও। কিন্তু শ্রীলঙ্কা রিভিউ নিলে তাতে বিদায় ঘণ্টা বাজে গত ম্যাচে ভালো শুরু এনে দেওয়া তামিমের (১৩)। চতুর্থ বলে সাকিবও লেগ বিফোরে সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। সাকিব ফিরেছেন শূন্য রানে।প্রাথমিক এই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। গত ম্যাচে শূন্যতে ফেরা লিটন এই ম্যাচে কিছুটা রান যোগানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি বাজে শটে আউট হওয়ায়। সান্দাকানের বলে এই ওপেনার হাসারাঙ্গাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ২৫ রানে।

এর পর মাঠে নামেন মোসাদ্দেক। প্রায় দুই বছর পর ওয়ানডে দলে খেলতে নেমেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেয়েও তার সদ্ব্যবহার করতে পারলেন না। ১০ রানে সান্দাকানের ঘূর্ণিতে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান।টপের বাকিরা ব্যর্থ হলেও এক প্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন মুশফিক। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৮৭ রান তুলে ফেলা জুটিটিই পরে ভালো সংগ্রহের ভিত গড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভেঙেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে। প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে তিনি উইকেটকিপারের গ্লাভসবন্দি হন। মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ৪১ রানে।

এর পরেই যেন ছন্দ পতন ঘটেছিল ইনিংসে। পর পর দুই ওভারে ফিরেছেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আফিফকে নিসাঙ্কার ক্যাচ বানিয়েছেন উদানা। আর মিরাজকে ঘূর্ণি বলে বোল্ড করেছেন হাসারাঙ্গা। কিন্তু নিজ লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন মুশফিক। দুইবার বৃষ্টির হানায় খেলা বন্ধ হলেও মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটেনি তার। বৃষ্টি বিরতির পর তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি। যা পেলেন প্রায় দুই বছর পর। আর তার ইনিংসে ভর করেই শেষ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জিং স্কোরের পথে এগিয়েছে স্বাগতিকরা।  

এই সময়ে সাইফউদ্দিন কিছুক্ষণ সঙ্গ দিলেও থিতু হতে পারেননি। রান আউটে ফিরেছেন ১১ রানে। তার পর অভিষিক্ত শরিফুল ফিরে গেলে মুশফিক শেষ দিকে চেষ্টা করেছিলেন রানের গতি বাড়ানোর। কিন্তু চামিরার বলে ক্যাচ তুলে দেওয়ায় ১২৫ রানেই শেষ হয় মুশফিকের ইনিংস। তার বিদায়ে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ৪৮.১ ওভারেই।  লঙ্কানদের পক্ষে ৪৪ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন দুষ্মন্থ চামিরা, ৫৪ রানে তিনটি নিয়েছেন লাকসান সান্দাকান। দুটি নিয়েছেন ইসুরু উদানা ও একটি নিয়েছেন হাসারাঙ্গা।