আগামী ২০ জানুয়ারি ডানেডিনে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের, নিউজিল্যান্ড সফল। এই সফরে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। সফর শেষে দেশে ফিরেই এক সপ্তাহের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এই লক্ষ্যে টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই অনুশীলন শুরু হবে। এমনটাই জানিয়েছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান।
নিউজিল্যান্ড সফরের বাইরে যারা টেস্টের জন্য বিবেচিত হতে পারেন তাদের নিয়ে ২/১ দিনের মধ্যে মিরপুরে অনুশীলন শুরু হবে। অধিনায়ক মুমিনুল হক, ইয়াসির আলী, সাইফ হাসান, তাইজুল ইসলাম, সাদমান ইসলাম, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেনসহ বেশ কয়েক ক্রিকেটার এই অনুশীলনে যোগ দেবেন। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘অবশ্যই আমরা অনুশীলন শুরু করবো। নিউজিল্যান্ড সফর শেলে টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা এখানে যোগ দেবে। আর দেশে যারা টেস্ট ক্রিকেটার আছে, দুই তিন দিনের মধ্যে সবাই এক সাথে অনুশীলন করবে।’২২ মার্চ থেকে শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ। লঙ্কান সফরের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এই লিগটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আকরাম খান, ‘টেস্ট দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের জাতীয় লিগ খেলার সুযোগ আছে। ওরা এখানে অনুশীলনের মঞ্চ পাবে।
পাশাপাশি ওখানে (শ্রীলঙ্কায়) একটা অনুশীলন ম্যাচের পরিকল্পনা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ভালো প্রস্তুতি নিয়েই আমরা শ্রীলঙ্কা যেতে পারবো।’এদিকে কোয়ারেন্টিনে কোথায় থাকবে বাংলাদেশ? এই ইস্যুতে এখনো লঙ্কান সিরিজের সূচী চূড়ান্ত হয়নি। আকরাম জানালেন, ‘কোয়ারেন্টিনে আমরা কোথায় থাকব। ওরা কিছু চাচ্ছে, আমরা কিছু চাচ্ছি, এই অবস্থায় আছে। আমরা কোয়ারেন্টিনে কলেম্বোর মধ্যেই থাকতে চাচ্ছি। কিন্তু ওরা চাচ্ছে আমরা যেন কলম্বোর বাইরে থাকি। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি কলম্বোতে থাকার জন্য। যেহেতু ওখানে ভালো সুযোগ-সুবিধা আছে। এটাও দুই/ তিন দিনের মধ্যে নিশ্চিত হবে।’কোয়ারেন্টিনে ক্রিকেটারদের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত না হলেও দুই টেস্টের ভেন্যু হিসেবে অনেকটাই নিশ্চিত গল। এ ব্যাপারে আকরাম খান বলেছেন, ‘গলে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি, ২/১ দিনের মধ্যে সমস্ত কিছুই ফাইনাল হয়ে যাবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ২১ ও ২৯ এপ্রিল হওয়ার কথা।’