My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


সঠিক জায়গায় বল করেই সফল মাশরাফি

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলাই অনিশ্চিত ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার। তিনিই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম কোয়ালিফায়ারে আগুনে বোলিং করে খুলনাকে ফাইনালে তুলেছেন। আগের দুই ম্যাচে মিতব্যয়ী বোলিং করে দলের ভরসা আদায় করে নিয়েছিলেন। কোয়ালিফায়ারেই নিজের সেরা ফর্মে ফিরেছেন দেশসেরা এই পেসার।

সৌম্য সরকারকে দিয়ে শুরু। এরপর একে একে তিনি ফিরিয়েছেন লিটন দাস, মাহমুদুল হাসান জয়, শামসুর রহমান এবং মুস্তাফিজুর রহমানকে আর তাতেই ব্যাটিং অর্ডার গুড়িয়ে যায় চট্টগ্রামের।  মাশরাফি তাঁর বোলিং শেষ করেছেন ৪ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে।

এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন তিনি। পুরষ্কার হাতে মাশরাফি জানিয়েছেন, লাইন ল্যান্থ ঠিক রেখেই সফল হয়েছেন তিনি। প্রায় ৮-৯ মাস পর খেলতে নেমেছেন তিনি। তাই ফিরেই এমন পারফরম্যান্স খুব সহজ ছিল না।

মাশরাফি বলেন, 'কোনো রহস্য নেই সাফল্যের। শুধু ভালো জায়গায় বল করে যাওয়া, এটাই। গত আট-নয় মাস ক্রিকেট খেলা সহজ ছিল না। আমার জন্য আদর্শ ছিল না। তবে দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। শুধু নিজের জায়গাটায় বল করে যাওয়া, এটাই আমি অনেক বছর ধরে করে আসছি। এটাই আত্মবিশ্বাসের একমাত্র কারণ বলা যায়। আমি ঠিক জায়গায় বল করে যেতে পারি। বাকি যা হওয়ার তা তো হবেই।'

ক্রিকেট যতটা শারীরিক খেলা এর চেয়েও বেশি মানসিক খেলা। ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে এসে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করলেন মাশরাফি। সেই সঙ্গে তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ১৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। নানা চরাই উৎরাই পেরিয়ে তাই এমন পারফরম্যান্স কঠিনই ছিল বলে জানিয়েছেন এই পেসার।

তিনি বলেন, 'ক্রিকেট মানসিকতার খেলা। তবে সময়টা কঠিন ছিল। করোনা পজেটিভ হওয়া সহজ ছিল না। আমি ফিট হওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এরপর আমি হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ি। সহজ ছিল না। আমি লেগে ছিলাম। আত্মবিশ্বাস ছিল এই টুর্নামেন্টটা খেলতে পারব। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া এটাই হয়েছে। এরপর কিছু উইকেট পাওয়ায় নিজে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।'