My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


মুশফিকের ব্যাটে জয়ে শুরু আবাহনীর

আবাহনীর জার্সিতে প্রথমবার ঢাকা লিগে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। সোমবার দীর্ঘবিরতির পর শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ঢাকা লিগে তার ব্যাটেই জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে আবাহনী। আগে ব্যাটিং করা আবাহনীকে ১২১ রানের লক্ষ্য দেয় পারটেক্স। কিন্তু বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটিতে ডার্কওয়াথ লুইস পদ্ধতিতে আবাহনীর নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০ ওভারে ৭০। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটেই জিতে যায় ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

কার্টেল ওভারের ম্যাচটিতে খেলতে নেমে চাপেই পড়েছিল আবাহনী। ৭.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান তুলে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছিল মুশফিকের আবাহনী। যদিও শেষ পর্যন্ত মুশফিকের দৃঢ়তায় আবাহনী শেষ হাসি হাসে। শুরুতেই অবশ্য আউট হয়ে যেতে পারতেন মুশফিক। ১ রান নিয়ে বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ চৌহানের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়তে পারতেন এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। ফিল্ডারদের জোড়ালো আবেদন স্বস্তেও আম্পায়ার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। শুরুতে কিছুক্ষণ অস্বস্তিতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। 

মুশফিক রান পেলেও ব্যর্থ হলেন নাঈম শেখ ও নাজমুল হোসেন। নাঈম ১৭ বলে ১৯ রান করে আউট হন। অন্যদিকে নাজমুল বাজে শট খেলে শট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। ৫ বলে তার সংগ্রহ ১ রান! জাতীয় দলের তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেনও ব্যর্থ হয়েছেন। ৪ বলে ২ রান করে সাইফুল হায়াত হৃদয়কে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেই এই অলরাউন্ডার।পারটেক্সের বোলারদের মধ্যে ইমরান আলী, শাহবাজ ও নিহাদুজ্জামান একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে অধিনায়ক তাসামুল হকের ৬৫ রানের সুবাধে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২০ রান সংগ্রহ করে। মেহেদী-তাইজুলদের সামনে তাসামুল ছাড়া কোন ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। তাসামুল ৫৪ বলে ৯ চারে ৬৫ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। শেষ দিকে মঈন খান ২৫ বলে ২২ রান করলে পারটেক্স কোন রকমে ১২০ রান সংগ্রহ করে।আবাহনী বোলারদের মধ্যে তাইজুল ইসলাম দলের সেরা বোলার। ১২ রান খরচায় তিনি দুটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মেহেদী হাসান রানা ৩১ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি উইকেট। শহিদুল ২৪ রানে নিয়েছেন একটি উইকেট।