দলে খুব বেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার না থাকলেও তরুণ অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েছে ফরচুন বরিশাল। তাসকিন-আফিফ-মেহেদী-সুমন-সাইফ-আমিনুল-পারভেজদের নিয়ে গড়া হয়েছে তামিমের দল। দলে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের ছড়াছড়ি থাকলেও নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটারদের অভাববোধ করছেন তামিম। যদিও এই দল নিয়েই টুর্নামেন্টে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তামিম। এ জন্য জুনিয়র-সিনিয়র নয়, দলের সবাইকেই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।
প্লেয়ার ড্রাফটে কিছু ভুল থাকলেও তামিম মনে করেন এখন পেছনে ফিরে তাকানোর কোন সুযোগ নেই। দারুন এই প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিয়েই মাঠের লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়তে চান, ‘কোন সন্দেহ নাই আমরা ড্রাফটে কিছু ভুল করেছি। তারপরও বুঝতে হবে ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা, যেকোনো কিছুই হতে পারে। এখন যারা আছে তাদের অনেককে হয়ত আপনারা-আমরা কাউন্ট করছি না। কিন্তু তারা সবাই দুর্দান্ত কিছু করে ফেলতে পারে। আমরা প্রেসিডেন্ট কাপেও দুই তিনজন খেলোয়াড়কে আশা করিনি এত ভালো করবে। টুর্নামেন্ট পরে ওদের নিয়ে আলোচনা সবচেয়ে বেশি ছিল। আশা করি যারা লাইমলাইটে নেই, তারা ওরকম পারফরম্যান্স করবে, দলকে যতটুকু দেওয়া দরকার তারচেয়ে বেশি দিবে। যে দলটা আছে আমাদের সফল হতে হলে আউট অব দ্য বক্স ক্রিকেট খেলতে হবে। নরমাল যেভাবে প্ল্যান সেট করে খেললে জেতাটা কঠিন হবে আমাদের জন্য।’
২৪ নভেম্বর জেমকন খুলনার বিপক্ষে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে তামিমের বরিশাল। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচ নিয়ে বরিশালের অধিনায়ক তামিম বলেছেন, ‘যেকোনো টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ একটু ট্রিকি হয়। কি ধরণের উইকেট হবে, বা কত পরিমাণ শিশির হবে। ম্যাচ খেলার পর সবার আইডিয়া হয়ে যায়। প্রথম ম্যাচের পর সব দলই অনেক তথ্য পেয়ে যায়। শিশির ভূমিকা রাখবে। প্রথম ম্যাচে হয়ত একটু সুবিধা থাকবে পরে ব্যাট করা দলের।’
প্রেসিডেন্টেস কাপে তৌহিদ হৃদয় দারুন ব্যাটিং করেছেন। ইরফান শুক্কুর তো প্রতি ম্যাচেই ছন্দময় ব্যাটিং করেছেন। দুইজনই আছেন তামিমের দলে। তামিম মনে করেন পুরো টুর্নামেন্টেই দল হয়ে খেলতে হবে, ‘ইরফানের খুবই ভাল টুর্নামেন্ট গেল। তৌহিদ হৃদয় কেমন করে দেখার অপেক্ষা। সে কোয়ালিটি খেলোয়াড়। ওদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমার এমন একটা দল যে এখানে সিনিয়র জুনিয়র কিছু নাই। আমি ছাড়া কেউ অভিজ্ঞ না। এই দলকে সফল হতে হলে সবার দায়িত্ব নিতে হবে। আমি ১৩ বছর খেলেছি। অন্যরা দুই বছর খেলেছে এটা কোন ব্যাপার না। আপনার সফল হতে হলে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমার দলের আউট অব দ্য বক্স কিছু করতে হবে না হলে কঠিন আমাদের জন্য।’
পুরো দলকে অনুপ্রাণিত করতে নিজের পারফরম্যান্সেরও বিকল্প দেখছেন না তামিম, ‘আমার নিজের পারফরম্যান্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমার অধিনায়কত্ব বাদ দেন, আমি যদি রান করি দলকে অবশ্যই তা অনুপ্রাণিত করবে। হয়তবা পুরো টুর্নামেন্টে ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা পালন করতে হবে। যদি আপনার রিসোর্স কম থাকে তাহলে ওভাবে চিন্তা করে, পরিস্থিতি বিচার করে খেলতে হবে।’বরিশালের ফ্যানদের উদ্দেশে তামিম বলেছেন, ‘শেখার চেষ্টা করব(বরিশালের ভাষা)। আমি পারি না। এটা ভাল যে বরিশাল আবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছে। গত দুই তিন মৌসুম ত ছিল না বিপিএলে। ওদের অনেক ভক্ত আছে। আশা করি যদি কিছু আনন্দ দিতে পারি আরকি। ’