২০০২ সালে শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলেছিল পাকিস্তান। সেই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৫৯ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়াকার ইউনুসের দল। একই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৫১ রানের লিডের জবাবে ব্যাট করতে নেমে আবারো লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল তাঁরা।
প্রথম ইনিংসের সংগ্রহের থেকেও ৬ রান কম করে এবার মাত্র ৫৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। যা ছিল তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। দীর্ঘ ১১ বছর পাকিস্তানকে এই লজ্জা বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই রেকর্ড ভেঙে পাকিস্তান অলআউট হয়েছিল মাত্র ৪৯ রানে।
সেই সময় অস্ট্রেলিয়ার দলের বোলিং আক্রমণে ছিলেন শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং ব্রেট লিদের মতো বিশ্ব কাঁপানো বোলারা। অথচ চলমান বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্টে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই লজ্জার রেকর্ড গড়লো ভারত। অস্ট্রেলিয়া দলে এখন আঁর ম্যাকগ্রা, ওয়ার্ন কিংবা লিদের মতো বোলার নেই।
তারপরেও প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজেলউড কিংবা মিচেল স্টার্কদের বোলিংয়ে সামনেই রেকর্ড সর্বনিম্ন ৩৬ রানে অলআউট হয় বিরাট কোহলির দল। পাকিস্তানের সেই লজ্জার রেকর্ড ভাঙার জন্য তাই ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার।
নিজের ইউটিব চ্যানেলে তিনি বলেন, 'যখন পাকিস্তান ৫৩ এবং ৫৯ রানে অলআউট হয়েছিল তখন অস্ট্রেলিয়া দলে গ্লেন ম্যাকগ্রা, শেন ওয়ার্ন এবং ব্রেট লিদের মতো বোলার ছিল। তাঁরা এই ধরণের প্রতিভাধর বোলিং আক্রমণ আর কখনোই পাবে না। কিন্তু আমাদের রেকর্ড ভাঙার জন্য ধন্যবাদ ভারত। তোমরা কোন না কোনভাবে আমাদের সাহায্য করলে। এটি ছিল মহৎ ভারতীয়দের জন্য খুবই বিব্রতকর পারফরম্যান্স।'
বিশ্বের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপ নিয়ে গড়া ভারত দলের মাত্র ৩৬ রানে ৯ উইকেট হারানো বিশ্বাস হবে না যে কারোরই। ঘুম থেকে উঠে স্কোরকার্ড দেখে শোয়েবেরও বিশ্বাস হয়নি। প্রথমে ৩৬৯ রান ভেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি ম্যাচেরই প্রত্যাশা করছিলেন। যদিও কিছুক্ষণ পরেই ভুল ভাঙলেও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল সাবেক এই পেস বোলারের।
এ প্রসঙ্গে শোয়েব আরো বলেন, 'আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি ৩৬৯ রান এবং আমি ভেবেছিলাম যে ম্যাচটা ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে যাচ্ছে। এরপর আমি চোখ ধুয়ে এসে দেখলাম ৩৬ রানেই ৯ উইকেট নেই! আমি এটা বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না।'