নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াড থেকে জায়গা কিছুটা হতাশ ছিলেন শোয়েব মালিক। সেই সঙ্গে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) শুরু থেকে ছিলেন না তিনি। তবে হঠাৎই টুর্নামেন্টের মাঝ পথে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। দলের সঙ্গে যোগ দিলেও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না। তবে টুর্নামেন্টের ফাইনালে এসে শিরোপা জিততে নিজের সবটুকু যেন বিলিয়ে দিলেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার।
ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে নিজের দল জাফনা স্ট্যালিয়ন্সকে শিরোপা জেতালেন ‘বুড়ো’ মালিক। করোনার সময়টায় পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে শিরোপা জেতার পর এবার এলপিএল শিরোপা। গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৫ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলার পর ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
১৮৯ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে গল। মাত্র ৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওপেনার দানুস গুনাথিলাকা এদিন ফিরেছেন মাত্র ১ রান। কোনো রান না করেই ফিরে গেছেন আরেক ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই।
এরপর সুরাঙ্গা লাকমলের বলে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন আহসান আলী। এরপর অবশ্য দলের হয়ে হাল ধরেন ভানুকা রাজাপাকসা, আজম খান এবং সেহান জয়সুরিয়া। রাজাপাকসা ৪০, সেহান ১৫ আর আজম ৩৬ রান করে ফিরে গেলে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয় গলের।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রানে থামে দলটি। জাফনার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মালিক এবং সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। আর একটি করে উইকেট নেন ধনাঞ্জয়া, লাকমল, হাসারাঙ্গা এবং ওলিভিয়ার।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে মালিকের ৪৬, থিসারা পেরেরার অপরাজিত ৩৯, ডি সিলভার ৩৩ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৮ রান তুৃলে জাফনা। গলের হয়ে তিন উইকেট নেন ধনাঞ্জয়া লাকশান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জাফনা স্ট্যালিয়ন্স: ১৮৮/৬ (ওভার ২০) (মালিক ৪৬, পেরেরা ৩৯*, ধনাঞ্জয়া লাকশান ৩/৩৬)
গল গ্ল্যাডিয়েটর্স: ১৩৫/৯ (ওভার ২০) (রাজাপাকশা ৪০, আজম খান ৩৬, মালিক ২/১৩)