বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে যেতে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের চাই রান। মোস্তাফিজ-শরিফুলের বোলিং তোপে বেক্সিমকো ঢাকার ইনিংসে থেমে যায় ১১৬ রানে। মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের পেসারদের সামনে ঢাকার ব্যাটসম্যানরা অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করা ঢাকা আগের ম্যাচের মতোই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। কৌশল পরিবর্তন করে সাব্বিরের সঙ্গে মুক্তারকে ওপেনিংয়ে পাঠায় ঢাকা। ঢাকার টিম ম্যানেজেমেন্টের কৌশল কতটা বাজে ছিলো, সেটি বোঝাতেই দলীয় ১৯ রানে দুই ওপেনার বিদায় নেন! ৭ বলে ৭ রান করে মুক্তার এবং ১১ বলে ১১ রান করে সাব্বির দলকে বিপর্যয়ে ফেলে বিদায় নেন।
দলের নিয়মিত ওপেনার নাঈম শেখ তিন নম্বরে নেমে হয়েছেন ব্যর্থ। ১৭ বলে ১২ রান করে বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুলের শিকার হন নাঈম। আগের ম্যাচের অনাকাঙিখত ঘটনার কারনে এমনিতেই চাপে ছিলেন মুশফিক! তার মধ্যে কোয়ালিফায়ার ম্যাচের মধ্যে সেই চাপ খানিকটা বেশিই থাকে। এমন পরিস্থিতিতে মুশফিকেও ভেঙ্গে পড়েছেন। মোসাদ্দেকের বলে স্কয়ার লেগে খেলতে গিয়ে রাকিবুলের শিকারে পরিণত হন মুশফিক। যাওয়ার আগে ৩১ বলে ২ চারে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন ঢাকার অধিনায়ক।
মুশফিকের বিদায়ের পর পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দলকে টেনে তোলা ইয়াসির আলীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিলো ঢাকা শিবির। কিন্তু দীর্ঘদেহী এই ব্যাটসম্যান গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন। ১ চার ও ১ ছক্কায় ২১ বলে ২৪ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। মিডল অর্ডারে নামা আল আমিনের ১৮ বলে ২৫ রানের ঢাকা কোন রকমে একশো পেরিয়ে যায়। শেষ দুই ওভারে প্রত্যাশিত রান না তোলাতে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৬।চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজ ৩২ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন। শরিফুল ১৭ রানে নেন ২ উইকেট। এছাড়া রাকিবুল, নাহিদুল, সৌম্য ও মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট নেন।