My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


দেশি আম্পায়ারদের বড় সুযোগ দেখছেন মনি

নতুন বছরের শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশে। সেখানে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন দেশি আম্পায়াররাই। আর টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার এই সুযোগকেই দেশি আম্পায়ারদের জন্য যোগ্যতা প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে দেখছেন এনামুল হক মনি।

স্বাগতিক দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তের অভিযোগে বেশ ২০০২ সালে টেস্টে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের নিয়ম প্রবর্তন করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কিন্তু কোভিড-১৯ এর সময়ের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই নিয়ম সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে সংস্থাটি। স্বাগতিক ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের ম্যাচ পরিচালনার অনুমতি প্রদান করেছে তাঁরা।

ইতোমধ্যেই টেস্টের রাজসিক অঙ্গনে পথচলার দুই দশক পূর্ণ করে ফেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই লম্বা পথচলায় দেশের মাত্র চারজন টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছে। আ ফ ম আক্তারুজ্জামান দুইটি টেস্ট পরিচালনা করেছেন। অপরদিকে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের নিয়ম প্রবর্তনের আগে মাহবুবুর রহমান ও শওকত উর রহমান পেয়েছেন সাদা পোশাকের ম্যাচ পরিচালনার স্বাদ।

নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা দেশিদের মধ্যে রয়েছে শুধুমাত্র এনামুল হক মনির। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ারদের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ড বনাম জিম্বাবুয়ের ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন নেপিয়ারে।

বর্তমানে বাংলাদেশের কোন আম্পায়ার আইসিসির অভিজাত আম্পায়ারদের তালিকায় নেই। দেশ থেকে এখন পর্যন্ত একমাত্র মনি নিজের নাম উদীয়মান আম্পায়ারের তালিকায় উঠাতে পেরেছেন। এই তালিকায় তিনি দুই বছর ছিলেন।

স্বাগতিক ম্যাচ কর্মকর্তা দিয়ে ম্যাচ পরিচালনার যে সিদ্ধান্ত আইসিসি দিয়েছে সেটি আম্পায়ারদের পাশাপাশি ম্যাচ রেফারিদের জন্যও বড় সুযোগ ও অর্জন বলে মানছেন মনি। এই সিদ্ধান্তের জন্যই আকতার আহমেদ এবং নিয়ামুর রশিদের টেস্ট ম্যাচ বিচারকের দায়িত্ব পালনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথে বলে মত বর্তমান এই আম্পায়ার প্রশিক্ষকের।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় মনি বলেন, 'টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করা একটি বড় সুযোগ একইসঙ্গে একটি বড় অর্জনও বটে। আমার মনে হয় বাংলাদেশি আম্পায়ারদের জন্য অবশেষে সুযোগটি আসছে। আমরা জানি স্বাগতিক আম্পায়াররাই ম্যাচ পরিচালনা করবেন। আমরা যদি সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যথাযথভাবে মাঠের সঙ্গে টিভিতে দায়িত্ব পালন করি তাহলে আইসিসি আমাদের নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাববে।'

সম্প্রতি জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ধবলধোলাই হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজ শেষে নিরপেক্ষ আম্পায়ারদের অনুপস্থিতি নিয়ে আক্ষেপ করেছেন তাঁদের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। একই ইস্যুতে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে হতাশা ঝড়েছে ভারতীয় পেসার জসপ্রিত বুমরাহর কন্ঠেও।

বাংলাদেশি আম্পায়ারদের অভিষেক টেস্ট পরিচালনার বাড়তি চাপ না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মনি। কারণ ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) থাকছে তাঁদের সাহায্যকারী হিসেবে। আর স্বাগতিক আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আইসিসি প্রতি ইনিংসে বাড়তি একটি করে ডিআরএস থাকবে দলগুলোর কাছে।

একারণেই আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে সফরকারী দলগুলোর সন্দেহেরও অবকাশ থাকার কারণ নেই। এ প্রসঙ্গে মনি আরো যোগ করেন,'বাড়তি একটি ডিআরএস (পুনঃমূল্যায়ন) থাকবে। তাই সফরকারীদের মনে কোন সন্দেহ থাকলে তারা সবসময়ই ডিআরএস ব্যবহার করতে পারবে।'