ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৪ বছর পরে আতিথেয়তা দেয়ার সুযোগ পেয়ছে পাকিস্তান। ইতোমধ্যে দেশটিতে পৌছেও গিয়েছে প্রোটিয়ারা। কিন্তু ভারতীয় নাগরিক হওয়ায় অতিথি হিসেবে প্রোটিয়া দলের পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট প্রসন্ন আগোরামকে গ্রহণ করেনি পাকিস্তানিরা। প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের শীতল কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে নিরাপত্তার খাতিরে ভিসা দেয়া হয়নি এই বিশ্লেষককে।
ভ্রমণের অনুমতি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় অ্যানালিস্টকে সাজঘরে পাবেন না ডি'কক-এইডেন মার্করামরা। দলের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা। কারণ আধুনিক ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা বিচার থেকে নিজেদের পারফরম্যান্স, খেলোয়াড়রা সব কিছুতেই বিশ্লেষকের উপরে নির্ভর করেন।
খুঁটিনাটি বিষয়ের বিশ্লেষণের জন্য মাঠ সেরা জায়গা। কিন্তু এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতেও বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়িতে বসেই খেলোয়াড়দের সহায়তা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানান আগোরাম। আর মুখোমুখি কথা বলার মাধ্যম হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপরে ভরসা করছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে আগোরাম বলেন, ' আমি এখানে (বেঙ্গালুরু) বসেই আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো। আমার এবং দলের খেলয়াড়দের জন্য বড় একটি ধাক্কা এটি। কারণ তারা আমার উপরে অনেকটাই নির্ভর করে। আর বিশদ বিশ্লেষণ শুধুমাত্র মাঠে বসেই করা সম্ভব।'
'যে খেলোয়াড়দের সামনা সামনি কথা বলা প্রয়োজন তাদের সঙ্গে জুম আর অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করবো। কথা চালাবো এবং সেখানে প্রয়োজনে তাদেরকে স্লাইড দেখাবো। আমার এক ঘন্টা কাজ চালানোর মত ইউপিএস রয়েছে। আমি প্রতি বল বিশ্লেষণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তত,' তিনি যোগ করেন।
গেলো বছর পাকিস্তানের ভিসা পেলেও সেখানে যাননি জিম্বাবুয়ের ভারতীয় কোচ লালচাঁদ রাজপুত। পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দারের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলো ভারতীয়রা। তাই নিজের ভিসা প্রত্যাখানের বিষয়কে স্বাভাবিক ভাবেই নিচ্ছেন আগোরাম।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদেরকে পরিস্থিতি বুঝতে হবে। জিম্বাবুয়ের কোচ লালচাঁদ রাজপুত পাকিস্তানে যেতে পারেননি। আবার আলিম দার ভারতে নিজের কাজ সারতে ভারতে আসার অনুমতি পায়নি। তো আমিই একমাত্র মানুষ নই যার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে।
আসন্ন এই সিরিজে দুটি টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে এই দুই দল। সূচি অনুযায়ী করাচিতে ২৬ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। আর ৪ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
টেস্ট সিরিজ শেষে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ১১, ১৩ এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো। সবগুলো ম্যাচই হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। পুরো সফরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হবে দুইদলের ক্রিকেটারদের।