ইনজুরির কারণে অ্যাডিলেড টেস্ট খেলা হয়নি ডেভিড ওয়ার্নারের। যে কারণে তাঁর জায়গায় ওপেনার হিসেবে খেলেছেন ম্যাথু ওয়েড। যদিও তিনি সচারাচর মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন। ওয়েড মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় নিজের ‘মৃত্যুর’ সার্টিফিকেটে নিজে স্বাক্ষর করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাইমন ও’ডনেল।
প্রথম টেস্টে খুব বেশি ভালো করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। প্রথম ইনিংসে ৮ রান করে ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৩৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো শুরু করলেও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে রানআউট হয়েছিলেন তিনি। আগামী ২৬ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। সবকিছু ঠিক থাকলে বক্সিং ডে টেস্ট ফিরতে পারেন ওয়ার্নার।
ও'ডনেল আশঙ্কা করছেন যে, ইনজুরি আক্রান্ত ওয়ার্নার যখন ফিরবেন তখন ওপেনিং থেকে জায়গা হারাতে হবে ওয়েডকে। কারণ জো বার্নস দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করায় মেলবোর্ন টেস্টে অনুমেয়ভাবেই সুযোগ পাবেন। আর এমনটি হলে তিনি মিডল অর্ডারে সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। কারণ সেখানে ট্রাভিস হেড এবং ক্যামেরন গ্রিনের মতো ক্রিকেটাররা রয়েছেন।
দ্বিতীয় টেস্টে যাদের বাদ পড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। যে কারণে ও’ডনেল মনে করছেন, ওপেনিংয়ে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় ওয়েড নিজে তাঁর ‘মৃত্যুর’ সার্টিফিকেটে সাক্ষর করেছেন। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) এসইএন রেডিওকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ও’ডনেল বলেন, ‘আমি মনে করি ম্যাথু ওয়েড তাঁর নিজের মৃত্যুর সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করেছে। একজন ভালো টিম ম্যান হিসেবে সে সঠিক কাজটাই করেছে। ডেভিড ওয়ার্নার যখন ফেরার জন্য প্রস্তুত হবেন তখন সে সরাসরি দলে যোগ দেবে। তারপর ম্যাথু ওয়েড ফিরে যাবে।’
এছাড়া রিকি পন্টিং বলেনছেন, ‘ডেভিড যদি ফিট থাকে তবে সে সরাসরি দলে ফিরে আসবে। তখন গ্রিন এবং ওয়েডকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওখানেই একমাত্র সুস্পষ্ট বিষয়। যদি তারা দুজন, পুকোভস্কি এবং ওয়ার্নার ফিট থাকে তাহলে উইলকে আরও অপেক্ষা করতে হবে। বার্নস ৫০ করায় তাকে তারা রাখবে। যা সঠিক সিদ্ধান্ত এবং যথেষ্ট উপযুক্ত।’