দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে জয়ের ভিতটা পাকা করে দিয়েছিলেন ইংলিশ তারকা জস বাটলার। এরপর বল হাতে আগুন ঝরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। রাজস্থান রয়্যালসের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ হেরেছে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে।
জস বাটলারের একটি সেঞ্চুরির অপেক্ষা দীর্ঘদিনের। ১২ বছরের ক্যারিয়ারের ২৮২ ম্যাচে খেলতে এসে আক্ষেপ দূর হয়েছে ইংলিশ এই ব্যাটসম্যানের। আগে ৪৬টি হাফসেঞ্চুরি থাকলে তার কোনটিকেই সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি রাজস্থানের এই ব্যাটসম্যান। রবিবার তার সেঞ্চুরিতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ২২০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করার রাজস্থান। এরপর মোস্তাফিজ ও ক্রিস মরিসে মিলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৬৫ রানে থামিয়ে দিয়ে ৫৫ রানের জয় তুলে নেন।
রাজস্থানের দেওয়া ২২১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিং জুটিটা ভালোই হয়েছিল হায়দরাবাদের। কিন্তু এর পরই মোস্তাফিজের তোপের মুখে পড়তে হয় ব্যাটসম্যানদের। এদিন অল্পের জন্য আইপিএলে নিজের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা ছোঁয়া হলো না তাঁর। ২০১৬ সালে হায়দরাবাদে হয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আজ ২০ রান খরচায় নিয়েছেন তিন উইকেট। হায়দরাবাদকে হারাতে মোস্তাফিজের পাশাপাশি ক্রিস মরিসের অবদানও যথেস্ট। দক্ষিণ আফ্রিকান এই পেসার ২৯ রান খরচায় তিনটি উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিতে ভূমিকা রাখেন।
এর আগে ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে আলোকিত করেছেন জস বাটলার। এর আগে আইপিএলে দুইবার ৯৫ ও ৯৪ রানে অপরাজিত থাকলে সেঞ্চুরি পাননি। সবমিলিয়ে ১০ বার ৮০ রান পেরিয়েও আক্ষেপটা ছিলো তার। অবশেষে রবিবার সেই আক্ষেপ দূর হয়েছে। হায়দরাবাদের বিপক্ষে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। তার অনবদ্য ১২৪ রানের উপর ভর করেই রাজস্থান জয়ের ভীতটা পায়। ৬৪ বলে ১১ চার ও ৭ ছক্কায় দিল্লিতে ঝড় তোলেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। এছাড়া সাঞ্জু সামসানের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ৪৮। আর তাতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ২২০ রানের বড় সংগ্রড় দাঁড় করায় তারা।