নেট অনুশীলনে পেসারদের প্রতিটি বলেই বিধ্বংসী ব্যাটে খেললেন সাকিব আল হাসান। একেবারে টি-টোয়েন্টি মেজাজে যাকে বলে। শর্ট লেংথ, গুড লেংথ, ফুল লেংথ, ইয়র্কার, ফুল টস, লোয়ার ফুল টস কোন বলেই বিন্দু মাত্র সমীহ দেখাননি। লফটেড, পুল, কাট, লেট কাট, সুইপ, রিভার্স সুইপ, ড্রাইভের পসরা সাজিয়ে প্রতিটি বলই পাঠাতে চেয়েছেন সীমানার বাইরে। শফিউল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন, হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান রানা যে লেংথেই বল ফেলেছেন, খেলেছেন মারমার কাটকাট। তার ব্যাটিং সেশনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল, যতক্ষণই অনুশীলন করেছেন এর পুরোটা জুরে ছিল দারুণ ইতিবাচক ইন্টেন্ট।
এবং অভাবনীয় ব্যাপার হল তার পুরো ব্যাটিং সেশন দেখে একবারের জন্যও মনে হয়নি এক বছরের জন্য তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন। কোন জড়তা নেই, নেই আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি। প্রায় দুই ঘণ্টার এই অনুশীলনের এক সেশনে টানা ৯ ওভারে মোট ৫৪ বলের ৫৩টিই টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটে সংযোগ করেছেন। কেবল শেষ ওভারের শেষ বলটি অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে থাকায় কানেক্ট করতে পারেননি। তবুও শটস খেলতে ব্যাট চালিয়েছিলেন। ব্যাটিংয়ের ধরণ দেখে মনে হল, ঠিক যেন বিশ্বকাপের সেই সাকিব আল হাসান।সাকিব কেন এমন ‘খুনে’ মেজাজে ব্যাটিং করছেন? বুঝতে কারোরই বাকি থাকার কথা নয়। চলতি মাসের ২৪ তারিখ থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। যেখানে জেমকন খুলনার হয়ে খেলবেন এই অলরাউন্ডার। সেই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখেই তার এমন খুনে মেজাজের ব্যাটিং অনুশীলন।
রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরের নেটে ঠিক এভাবেই আবিষ্কার করা গেল সদ্যই আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা এই টাইগার অলরাউন্ডারকে।ব্যাটিং শেষে বোলিং অনুশীলনও সেরেছেন নন্দিত এই অলরাউন্ডার। তবে তা ছিল একেবারেই লো ইন্টেনসিটির। মাত্র এক স্টেপে একটি স্ট্যাম্পে বল ছুঁড়েছেন। বোঝাই যাচ্ছিল, ব্যাটিংটা খুনে মেজাজে শুরু করলেও বোলিংয়ের ক্ষেত্রে তিনি ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করছেন।