গত ফেব্রুয়ারিতে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের দেয়া ৩৯৫ রানের অসম্ভব এক লক্ষ্য তাড়া করতে নামে ৩ উইকেট জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অভিষিক্ত ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান কাইল মেয়ার্সের অপরাজিত ২১০ রানের কল্যায় অবিস্মরণীয় এক জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন মাস আগের ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের এমন প্রতিরোধ থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়ে গেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
ক্যান্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে খেলতে নেমে ২৫১ রানেই অলআউট হয় মুমিনুল বাহিনী। ২৫৯ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ফলোঅনে পড়লে স্বাগতিকদের কল্যানে ফলোঅন করতে হচ্ছে না। চতুর্থদিন সকালে লঙ্কানরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করবে। দ্বিতীয় ইনিংসে দুইশো রান করলেও বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে চারশো রানের! স্বাভাবিক ভাবেই চতুর্থ ইনিংসে এতো রানের জয়ের লক্ষ্য ক্রিকেট ইতিহাসে নেই। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রানের টার্গেট ছুঁয়েছিল ক্যারিবীয়রা। ওটাই এখন পর্যন্ত চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের জয়ের রেকর্ড। ক্যান্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে কিছু করতে হলে বোলারদের পাশাপাশি ব্যাটসম্যানদের দারুন কিছু করতে হবে।
তৃতীয় দিন শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তিনমাস আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রসঙ্গ টানলেন, ‘আমরা কয়েক মাস আগেই অবিশ্বাস্য একটি টেস্ট ম্যাচের অংশ ছিলাম। যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের বিপক্ষে ৩৯৫ রান তাড়া করে জিতেছিল। আপনি কখনই জানেন না, কেউ হয়ত দারুণ কোনো ইনিংস খেলবে। আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে।’রবিবার সকালে দ্রুত ২/৩ উইকেট তুলে নেওয়াই বাংলাদেশের লক্ষ্য, ‘আমরা জানি আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে এই ম্যাচে, আমরা অনেক চাপে আছি, শ্রীলঙ্কা আধিপত্য বিস্তার করছে এই মুহূর্তে। কিন্তু আমরা আগামীকাল (রবিবার) সকালে দ্রুত ২-৩ উইকেট নিয়ে নিতে পারলে, ওদের ড্রেসিংরুমে একটু আশঙ্কা জাগাতে পারব।’