পুরো টুর্নামেন্টে জেমকন খুলনার ব্যাটসম্যানরা হতাশ করলেও ফাইনালে উঠার লড়াইয়ের ম্যাচে জ্বলে উঠেছেন তারা। বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়ে দূর্দান্ত পারফরম্যান্স করা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বোলাদের নিয়ে ছেলে ভেলায় মেতে উঠেছে খুলনার ব্যাটসম্যানরা। সোমবার জহুরুলের ব্যাটে খুলনা ২১০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। টুর্নামেন্টে এটাই খুলনার সর্বোচ্চ ইনিংস। আগের সর্বোচ্চ ছিল বরিশালের সঙ্গে ১৭৩। ফাইনালে যেতে হলেও ২১০ রানের মধ্যে আটকাতে হবে চট্টগ্রামকে।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাওয়া খুলনা শুরুটা ভালোই করেছে। দলীয় ৭১ রানে জাকির হাসান দূর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হলে ওপেনিং জুটি ভাঙ্গে খুলনার। ২২ বলে ১ চারে জাকির ১৬ রানের ইনিংস খেলেন। একটি ম্যাচ দলের বাইরে থাকা ইমরুল ফিরেও দারুন কিছু করার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু বড় শটস খেলতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে মাহমুদুলের তালুবন্দি হন ইমরুল ১২ বলে ২৫ রান করে। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নেমেই ছোটখাটো এক ঝড় তোলের মিরপুরের ২২ গজে। শরিফুলের এক ওভারে পর পর তিন ছক্কা মেরে শুরু হয় মাহমুদউল্লাহর ঝর। পরের ওভারে সঞ্জিত সাহাকেও মারের পর পর দুই চার। ডানহাতি স্পিনার সঞ্জিত সাহার তৃতীয় বলে মিড উইকেটের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হন মাহমুদউল্লহ। আউট হওয়ার আগে ৯ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে মাহমুদউল্লাহ নিজের ৩০ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর আরিফুল নেমেও আগের ঝড় অব্যহত রাখেন। অন্য প্রান্তে ব্যাটিং করা সাকিবকেও আজ সাবলিল ব্যাটিং করতে দেখা গেছে। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হওয়া সাকিব আজ খেলেছেন ২৮ রানের ইনিংস। মোস্তাফিজের দূর্দান্ত এক ডেলিভারিতে অফস্ট্যাম্প উপরে যায় সাকিবের। ১৫ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় সাকিব নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। তার আগে অবশ্য আরিফুল ৯ বলে ১৫ রান করে রান আউটের শিকার হন। সবমিলিয়ে খুলনা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়।গাজী গ্রুপ বোলারদের মধ্যে ৩.৪ ওভার বোলিং করে ২৪ রান খরচায় মোস্তাফিজ সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। নিজের চতুর্থ ওভারে দুটি বিমার মারায় বোলিং থেকে বহিষ্কার হন মোস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসারের বাকি দুটি বল করেন সৌম্য সরকার। এছাড়া সঞ্জিত সাহা ও মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট নিয়েছেন। নিজের