My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


সেঞ্চুরিতে গর্ডন- বাইচান কাতারে মায়ার্স

নতুন বলে মোস্তাফিজের প্রথম ওভার। সব মিলিয়ে তৃতীয়। একটু লাফিয়ে ওঠা বলে সাহস নিয়ে ব্যাট চালালেন কাইল মায়ার্স। টপ এজ হয়ে স্লিপ কর্ডনের ওপর দিয়ে বল সীমানার বাইরে। ৯৯ থেকে মায়ার্সের রান ১০৩। অভিষেকে সেঞ্চুরি।

ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় অসাধারণ, অনবদ্য। দল যখন খাদের কিনারায় তখন প্রতি আক্রমণে মায়ার্স এলোমেলো করলেন বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ। তাতে চট্টগ্রামে রচিত হলো মায়ার্স কাব্য। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার মানেই রক্তে মিশে আছে হার না মানা মনোবল, জয়ের চোয়াল-বদ্ধ প্রতিজ্ঞা।মায়ার্সের ব্যাটে ফুটে ওঠে সব। চতুর্থ দিন শেষে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মায়ার্স। আজও শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং করেন তিনি। দিনের প্রথম ঘণ্টায় তুলে নেন ফিফটি। ৮৯ বলে ফিফটি পেয়েছিলেন। তিন অঙ্কে যেতে খেলেন আরও ৮৯ বল। অভিষেকে সেঞ্চুরি আছে হরহামেশা।

আন্তর্জাতিক প্রায় প্রতিটি দলের খেলোয়াড়দের একাধিক ক্রিকেটার অভিষেক মঞ্চ রাঙিয়েছেন তিন অঙ্ক দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও তাই। মায়ার্সের আগে আরও ১৩ ক্রিকেটার সেঞ্চুরিতে অভিষেক রাঙিয়েছেন। তবে উপমহাদেশে অভিষেক রাঙানো বরাবরই কঠিন।তাইতো রেকর্ডের পাতাটাও তিনজনে সীমাবদ্ধ।কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজ ১৯৭৪ সালে বেঙ্গালুরুতে অভিষেকে ভারতের বিপক্ষে ১০৭ রান করেন। পরের বছর লেন বাইচান লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১০৫ রান। চতুর্থ ইনিংসে তিন অঙ্ক ছোঁয়া আরও কঠিন। মায়ার্স করে দেখিয়েছেন। তার আগে অভিষেকে চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মাত্র সাতজন। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রয়েছেন দুইজন।

সেই তালিকায় যারা আছেন আব্বাস আলী বাইগ (১১২), ফাফ ডু প্লেসিস (১১০), মোহাম্মদ ওয়াসিম (১০৯), ফ্রান্ক হায়েস (১০৬), লেন বাইচান (১০৫), ডোয়াইন স্মিথ (১০৫) ও ইয়সির হামিদ (১০৫)। মায়ার্স দ্যুতিময় ব্যাটিংয়ে নিজের সামর্থ্যের জানান দিলেন। এবার এগিয়ে যাওয়ার পালা।