বিপিএলে চারটি ট্রফি জয়ের অভিজ্ঞতা ছিলো মাশরাফির। তবে আগের চারটি ট্রফি অধিনায়ক হিসেবে জিতলেও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে জেমকন খুলনার হয়ে ট্রফি জিতেছেন সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে। অধিনায়ক না হয়েও মাশরাফি মাঠ ও মাঠের বাইরে নানামুখী ভূমিকা রেখেছেন। শুক্রবার শিরোপা জিতে সেটিই মনে করিয়ে দিলেন মাহমুদউল্লাহ।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে খুলনার জার্সিতে খেলার সুযোগ হয়নি মাশরাফির। ইনজুরির থেকে ফেরার পর টুর্নামেন্টের মাঝপথে মাশরাফিকে লটারির মাধ্যমে দলে পায় জেমকন খুলনা। তারপর থেকে খুলনার জার্সিতে নিয়মিত মাঠে থেকেছেন মাশরাফি। দলে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘অবশ্য এমন শিরোপা জয়ের জন্য পুরো দলের কৃতিত্ব আছে। তবে বিশেষ করে ম্যাশকে ( মাশরাফি)। সে অনেক সাহায্য করেছে। তাঁর অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে। আমরা খুবই খুশি তাঁকে পেয়ে।’
পুরো টুর্নামেন্টেই ধারাবাহিক ভাবে ভালো ক্রিকেট খেলেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। কিন্তু প্রথম কোয়ালিফায়ারের পর ফাইনালে এসে খুলনার কাছে হোঁচট খেতে হয়েছে চট্টগ্রামকে। ফাইনালে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও বোলিং এবং ফিল্ডিং দূর্দান্ত সময় কাটিয়েছিল খুলনা। যার ফলেই ৫ রানের জয়ে মাহমুদউল্লাহ কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে প্রথমাবের মতো কোন শিরোপা জিতার সুযোগ পেয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারি না। যেভাবে বোলাররা এবং ফিল্ডাররা তাদের সব ঢেলে দিয়েছে, তাদেরকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। আলহামদুলিল্লাহ্, আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি।’
পুরো টুর্নামেন্টে ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। তবে ফাইনালে ৭০ রানের দূর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে শিরোপা জেতাতে ভূমিকা রেখেছেন তিনি, ‘প্রথম কয়েক ম্যাচে আমি যেভাবে চাইছিলাম, সেভাবে ব্যাটিং করতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। খুশি যে আমি অবদান রাখতে পেরেছি।’