ক্যান্ডির ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের কোন দলের বোলাররাই সুবিধা করতে পারেনি। ব্যাটসম্যানদের আধিপত্যে প্রথম টেস্টটি ম্যাড়ম্যাড়ে ড্রতে নিষ্প্রতি হয়। একই ভেন্যুতে আগামী ২৯ এপ্রিল শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এই টেস্টে পেস নির্ভর উইকেট বানাবে স্বাগতিকরা। এমনটিই জানালেন বাংলাদেশ দলের দল নেতা খালেদ মাহমুদ সুজন।
বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় খালদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘আগের টেস্টের উইকেট একদম ফ্ল্যাট ছিলো। ওমন উইকেটে টেস্টের রেজাল্ট বের করা খুব কঠিন। দ্বিতীয় টেস্টে আমাদের জন্য অন্যরকম কিছু অপেক্ষা করছে। ধারনা করছি সিমিং উইকেট হতে পারে, কতটুকু সিমিং হবে আমরা জানি না। কাল (মঙ্গলবার) উইকেট দেখে ধারনা দিতে পারবো। হয়তো কিছুটা স্পিনও ধরতে পারে। কিন্তু ফ্ল্যাট উইকেট হবেনা, এতোটুকু নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি। কারণ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলও এমন উইকেট পছন্দ করেনি।’
প্রথম টেস্টে তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসদের ব্যাটিং দেখে খুশি সাবেক এই অধিনায়ক, ‘যেভাবে ছেলেরা ব্যাট করেছে তাতে আমি খুব খুশি। সত্যি কথা বলতে তামিমের দুইটা ইনিংসই আউটস্ট্যান্ডিং। প্রথম ইনিংসতো আমাদের ড্রেসিংরুমের আবহই পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমি খুব খুশি যে চাপের মুখে শান্ত অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেছ। দেশের বাইরে প্রথম সেঞ্চুরি করে মুমিনুলও নিজেকে প্রমাণ করেছে। মুশফিক, লিটন দুজনেও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে দলকে।’
তিন পেসারের মধ্যে তাসকিন অসাধারণ বোলিং করেছেন। ৩০ ওভার বোলিং করে তিন উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার তিনিই। তাসকিনের প্রশংসা করতে গিয়ে সুজন বলেছেন, ‘আমি খুব খুশি তাসকিন যেভাবে বল করেছে। এই গরমে ৩০ ওভার বল করা সহজ ছিলো না। গ্রেট এফোর্ট। সবসময় যেটা হয় ৩০ ওভার বল করলে বোলিং এর মত বোলিং হয়না, কিন্তু তাসকিন পুরো এফোর্ট দিয়েছে, আমি খুব খুশি।’
আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬ টেস্টের সবকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ দল। টানা হারের পর অধিনায়ক, কোচদের নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। সেই ঝড় থেকে বাদ পড়েননি খেলোয়াড়রাও। সুজন ক্রিকেটারদের উপর বেশি খুশি, এমন চাপের মুখেও নিজেদের মেলে ধরতে পারায়, ‘
আমি খুব খুশি, যেভাবে আমরা চাপের মধ্যে ছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজে ভালো করতে পারিনি, সেখান থেকে কতটুকু ভালো করবো প্রশ্ন ছিল? কিন্তু আমি খুব খুশি এখানে আসার পর যেভাবে তারা (ক্রিকেটার) ট্রেনিং সেশন, অনুশীলন ম্যাচে এফোর্ট দিয়েছে। তবে আমরা এর চেয়ে ভালো করতে পারি, আমরা ভালো করবো। তবে আমাদের সময় দিতে হবে।’
সাবেক এই ক্রিকেটার মনে করেন এভাবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে এক সময় নিয়মিত জয়ের ধারায় ফিরবে বাংলাদেশ দল, ‘ আমরা যদি এভাবে টেস্ট ম্যাচে কম্পিট করতে পারি, একটা বছর যদি অন্তত ড্র করতে পারি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করে। তবে একটা সময় আসবে, যখন আমরা টেস্ট ম্যাচ জেতা শিখে যাবো।’