বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক করোনায় আক্রান্ত। মুঠোফোনে করোনা আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছেন মুমিনুল। তার স্ত্রীরও পজিটিভ ধরা পড়েছে।
সোমবার শরীরে হালকা জ্বর ছিল এই ক্রিকেটারের। সতর্কতার জন্য বিকেলে করোনা পরীক্ষা করান তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে পেয়ে যান ফল। যেখানে করোনা পজিটিভ হওয়ার রিপোর্ট পান মুমিনুল।
বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের ভাষ্যে, ‘করোনায় আক্রান্তের খবর সত্য। গতকাল টেস্ট করিয়েছিলাম। উপসর্গ বলতে, হালকা জ্বর ছিল। এখন জ্বরও নেই। শ্বাস-প্রশ্বাসেও কোনো সমস্যা নেই। ঠান্ডার একটা সমস্যা তো আমার নিয়মিত। সকালে ঘুম থেকে উঠলে এক নাক বন্ধ থাকে। আল্লাহর রহমতে এখন কোনো সমস্যাই নেই। পুরোপুরি সুস্থ আছি।’
কয়েকদিন পরই দ্বিতীয় টেস্ট করাবেন মুমিনুল। আইসোলেশনে থাকবেন এ সময়টায়। তিনি বলেন, ‘বাসায় এখন আইসোলেশনে থাকতে হবে। সামনের কয়েকটি দিন আরো সতর্ক থাকতে হবে। এমনিতে তো বাড়তি সতর্ক হয়ে চলাফেরা করতাম। যে ভাবেই হয়েছে সামনের কয়েকটি দিন সচেতন থাকতে হবে।’
জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা মাঠে ফিরেছিলেন। শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য হয়েছিল জাতীয় দলের ক্যাম্প। দ্বীপরাষ্ট্রে সফর না হলেও নিয়মিত অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছিলেন মুমিমুল, তামিমরা। তিন দল নিয়ে বিসিবি আয়োজন করেছিল প্রেসিডেন্টস কাপও। এ সময়ে পাঁচ দফা করোনা পরীক্ষা করান ক্রিকেটাররা। তখন প্রত্যেকেই ছিলেন করোনা নেগেটিভ।
ক্রিকেটারদের ক্যাম্প বন্ধ। তবুও মাঠে এসে ঐচ্ছিক অনুশীলন করছেন তামিম, মুশফিক, মুমিনুলরা। গতকাল সকালেও ইনডোরে ব্যাটিং করেছেন মুমিনুল। এরপর অসুস্থতা বোধ করায় করোনা টেস্ট করান। আজ জানতে পারেন তিনি করোনা পজিটিভ।
এর আগে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও করোনা পজিটিভ হয়েছেন। পাকিস্তানে পিএসএল খেলতে যাবার আগে দুই দফা করোনা পরীক্ষা করান। দুইবারই করোনা পজিটিভ ফল আসে মাহমুদউল্লাহর।
জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটারের করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সামনে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোয় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। আগের থেকে আরো কঠিন পদক্ষেপ ও সতর্কতা মানতে হবে দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে।