বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে গেছে মঙ্গলবার। তবে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের মিশন শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার থেকে। এদিন তাদের প্রতিপক্ষ মুশফিকের বেক্সিমকো ঢাকা। সৌম্য-লিটন-মোসাদ্দেক-মোস্তাফিজুর-তাইজুল-মুমিনুলদের নিয়ে বেশ ভালো দল গড়েছে চট্টগ্রাম। এর বাইরেও যুব বিশ্বকাপজয়ী দুই ক্রিকেটার রাকিবুল হাসান ও শরিফুল ইসলাম আছেন দলটিতে। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন নিজের দল নিয়ে দারুন খুশি।
সংবাদ মাধ্যমকে বুধবার তিনি বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমি আমার দল নিয়ে অনেক খুশি। আমরা একটা ব্যালেন্স সাইড। এখন মাঠে প্রমান করতে হবে। যে আমরা দল হিসেবে কতটা ভালো। আমি মনে করি যে আমরা যদি স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারি। আমাদের যে টিম, ইতিবাচক ফলাফলই আশা করছি।’ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে মিঠুনের। সেই সুবাধে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও তার উপরই আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে ঘরোয়া অন্যসব টুর্নামেন্টের চেয়ে কুড়ি ওভারের এই টুর্নামেন্টে বেশি ফোকাস থাকবে ক্রিকেট অনুসারীদের। সবমিলিয়ে আত্মবিশ্বাসী মিঠুন নিরে অধিনায়কত্ব নিয়ে বলেছেন, ‘আমি প্রিভিলেজড। আমাকে যোগ্য মনে করেছে। আমি অবশ্যই আমার দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা করবো আমার নিজের এবং দলের সেরা পারফরম্যান্সটা বের করে আনতে। আমার লক্ষ্য ম্যাচ বাই ম্যাচ। এমনকি প্রতিটা বল আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
মঙ্গলবার উদ্বোধনী দিনের দুটি ম্যাচই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। উইকেট ভালো থাকায় ব্যাটসম্যানরা রানও করেছেন। মিঠুনের আশা পুরো টুর্নামেন্টেই এমন উইকেট পাওয়ার, ‘কালকের (মঙ্গলবার) খেলায় একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে মাঠের ক্রিকেটটা গুরুত্বপূর্ণ, খাতা কলমের চেয়ে। উইকেট দেখে আমার মনে হয়েছে খুব ভালো উইকেট, হাই স্কোরিং ম্যাচ মনে হয়েছে। এমন উইকেট যদি পুরো টুর্নামেন্টে থাকে। যত দিন যাবে তত আরও ভালো ক্রিকেট সবাই দেখবে আশা করি। ’মিঠুনের দলে সৌম্য-লিটনের মতো বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান রয়েছে। এমন দুইজন ব্যাটসম্যান নিয়ে কতটা রোমাঞ্চিত মিঠুন। চট্টগ্রামের অধিনায়ক জানালেন ১/২ জন নিয়ে তিনি ভাবছেন না, পুরো টিমের পারফরম্যান্স নিয়েই তার ভাবনা, ‘আমরা একটা দল, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম দল। আমি একা কাউকে নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী না আমরা দলকে নিয়ে বেশি আশাবাদী। আমরা জানি লিটন এবং সৌম্যর সামর্থ্য কী। তাদের দিনে তারা একা হাতেই ম্যাচ জেতাতে পারে।’
মিঠুন আরও যোগ করেছেন, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ের গভীরতা তো অনেক। আমি প্রথমে যেটা বললাম কোনো একজনের ওপর আশা করছি না। যার যার দিনে সে সে ম্যাচ জেতাবে। কোনোদিন আমি জেতাতে পারি কোনোদিন মুস্তাফিজও ম্যাচ জেতাতে পারে। আমার কাছে সব খেলোয়াড় সমান গুরুত্বপূর্ণ। যার যার দিনে সে ম্যাচ জেতাবে। ’মোস্তাফিজ ছাড়াও তরুণ দুইজন পেসার আছে চট্টগ্রামে। যুব বিশ্বকাপজয়ী শরিফুল ছাড়াও আছেন তরুণ পেসার মেহেদী হাসান। সবমিলিয়ে পেস আক্রমণ নিয়ে অনেক আশাবাদি মিঠুন, ‘আমরা সবাই জানি মুস্তাফিজের সক্ষমতা সম্পর্কে। যে ও কী করতে পারে। ওর ব্যাপারে নতুন করে কিছু বলার নাই। আর শরিফুল খুবই ট্যালেন্টেড একটা খেলোয়াড়। ভালো গতি আর নিয়ন্ত্রণ আছে। আর মেহেদীকে নেটে যতটুকু দেখেছি, ওর কন্ট্রোল অনেক ভালো। তাছাড়া সৌম্য, জিয়া ভাই যারা আছে। ওদের যখন প্রয়োজন হবে। স্পিন যদি কাজ না করে। তারা দুই-তিন ওভার করে দেয়ার মতো তারা ক্যাপেবল।’