ইউরো কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল হয়তো এরকম নাটকীয় হওয়াই সাজে। নাহলে কে-ই বা ভেবেছিলেন যে, নক আউট পর্বের ম্যাচে আত্মঘাতী গোল করে বসবেন স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমন। এবং তারপরেও ঘুরে দাঁড়াবে স্পেন। ৩-১ করে ফেলবে বিশ্বকাপের রানার্স ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। অভাবনীয় ঘটনার তখনও বাকি ছিল কারণ, দু গোলে পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটায় ক্রোটরা। ৩-৩ করে দেন লুকা মদ্রিচরা। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে শেষ হাসি হেসেছে স্পেন। অতিরিক্ত সময়ে জোড়া গোল করে ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে লুই এনরিকের দল। বিশ্বকাপের রানার্সদের হারিয়ে শুধু নয়, পিছিয়ে পড়েও পাঁচ গোল দিয়ে।
সোমবার ইউরো কাপের প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে আজব গোল খেয়ে বসেন স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমোন (Unai Simón )। ম্যাচের ২০ মিনিটে দলের সতীর্থ ফুটবলার পেদ্রির নিরীহ ব্যাকপাস পা দিয়ে ধরতে গিয়ে ফস্কে গোল হজম করেন সিমোন। এবারের ইউরোয় এটি নবম আত্মঘাতী গোল। ইউরোর ইতিহাসে চতুর্থ গোলকিপার হিসেবে আত্মঘাতী গোল করলেন সিমোন।
তবে ম্যাচে নাটকের তখনও বাকি ছিল। গোল হজম করে উদ্বেগের ১৮ মিনিট কাটানোর পর ম্যাচের ৩৮ মিনিটের মাথায় স্পেনকে সমতায় ফেরান পাবলো সারাবিয়া। গোল শোধ করার পরই স্পেন আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে সিজ়ার এসপেলেকুয়েতা স্পেনকে ২-১ এগিয়ে দেন। পেদ্রির পাস থেকে ফেরান তোরেস হয়ে বল এসেছিল সিজ়ারের কাছে। লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ৭৭ মিনিটে ফেরান তোরেস ৩-১ এগিয়ে দেন স্পেনকে।
মোটামুটি সকলে ধরেই নিয়েছিলেন যে, ছিটকে যেতে চলেছে ক্রোয়েশিয়া। তবে ৮৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান ক্রোয়েশিয়ার মিস্লাভ ওরসিচ। এরপর সংযুক্ত সময়ে ৩-৩ করেন পাসালিচ। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে ৩ মিনিটের ব্যবধানে স্পেনের হয়ে পরপর দুটি গোল করেন মোরাতা ও ওয়ারসাবাল। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ক্রোটরা।