বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শুরুর আগে গোড়ালির ইনজুরিতে পরে প্রথম পাঁচটি ম্যাচ মিস করেছিলেন সাইফউদ্দিন। ৬ ডিসেম্বর জেমকন খুলনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরলেও কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছিল সাইফউদ্দিনের। মূলত জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার কারনে এমআরআই করানো সম্ভব হয়নি এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের। টুর্নামেন্ট শেষে এমআরআই রিপোর্ট করানোর পর লিগামেন্টের কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে সাইফের গোড়ালিতে। আপাতত তিন সপ্তাহের পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমকে সাইফউদ্দিন বলেছেন, ‘জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার কারনে এমআরআই করতে পারিনি। টুর্নামেন্ট শেষে এমআরআই করিয়ে, লিগামেন্টে কিছু সমস্যা পাই। আমি অবশ্য কিছুটা ব্যথা অনুভব করেছিলাম, ভেবেছিলাম এক সপ্তাহ পর চলে যাবে। কিন্তু হয়নি। এখন দেবাশীষ স্যার, শাওন ভাই, বায়োজিদ ভাইদের তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। উনাদের প্লান অনুযায়ী আগাচ্ছি। আমাকে প্রায় তিন সপ্তাহের মতো উনাদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।’
সামনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। তার আগে অবশ্য সুস্থ হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদি সাইফ, ‘আমি আশাবাদী। সুস্থ হওয়ার পর আমার কিছু টেস্ট নেবে- বোলিং টেস্ট বা রানিং, ফিটনেস টেস্ট। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো ছাড়পত্র পাব।’
পেসারের পিঠের ইনজুরি খুব স্বাভাবিক ইনজুরি। বাংলাদেশে জাতীয় দলের পেসার সাইফউদ্দিন এই ইনজুরি নিয়েই দীর্ঘদিন খেলছেন। নিজের ইনজুরি সম্পর্কে বলতে গিয়ে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘২০১০ সাল থেকেই এটা আসলে অভ্যাস হয়ে গেছে। যখন আমি অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় দলের সফর করি, তখন আমার ব্যাকে (পিঠে) প্রবলেম ছিল। এছাড়া সিটি ক্লাব মাঠে একটি অনুশীলন ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় ড্রাইভ দিতে গিয়ে রিস্টে ফ্রেকচার হয়, সেটা আমি বুঝতে পারিনি। ইনজুরি আসলে কারও হাতে থাকে না, কারো কন্ট্রোলে থাকে না। তারপরও এসব মানিয়ে নিতে হয়।’
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে তিন ম্যাচ বোলিং করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। মাঠে ফেরার আগে দুই সপ্তাহ রিহ্যাবও করেছেন তিনি। কিন্তু লিগামেন্টে সমস্যা সেটি বিন্দুমাত্র বুঝতে পারেনি, ‘দুই সপ্তাহের মতো রিহ্যাব করার পর ভালো ফিল হয়েছে, নেটেও ভালো ফিল হচ্ছিল। নিজের ভেতর কনফিউশন কাজ করছিল বলেই এমআরআইটা করাই। এখনতো বুঝতেই পারছি, কতটা সমস্যায় ছিলাম।’