My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশের আসল চ্যালেঞ্জ নতুন বল’

নিউ জিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ দলের আসল চ্যালেঞ্জ হবে নতুন বল। ব্যাটিংয়ে সেই চ্যালেঞ্জ জিতে গেলে বাংলাদেশ লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস নিউ জিল্যান্ডে দুই ওয়ানডে, তিন টি-টোয়েন্টি ও এক টেস্ট খেলা কাজী নুরুল হাসান সোহানের।

কম্বিনেশনের কারণে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাতীয় দলের বাইরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রাথমিক স্কোয়াডে তাকে রেখেছিলেন জাতীয় নির্বাচকরা। বিসিবি একাদশের হয়ে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে তার পারফরম্যান্স ছিল ‘আপ টু মার্ক’। কিন্তু শেষমেশ জাতীয় দলে জায়গা হয়নি। সামনে জাতীয় লিগ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। সেই প্রস্তুতির ফাঁকে গণমাধ্যমে কথা বলেন নিউ জিল্যান্ড সফর নিয়ে।নুরুল হাসান সোহান বলেছেন,‘নতুন বলে নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলা আসলে কঠিন।

নতুন বল যদি পার করতে পারে, মানিয়ে নিতে পারে, তাহলে ব্যাটসম্যানদের জন্য রান করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। আমার ওয়ানডে ও টেস্ট অভিষেক নিউ জিল্যান্ডেই হয়েছিল। পুরানো বলে ব্যাটিং করে মজা পাওয়া যায়। বল সুন্দর দেখা যায়। আমাদের দেশে বল পিচে পড়লে আমরা দোমনায় থাকি যে কী হবে! ওখানে ট্রু বাউন্স থাকে। তবে রান করতে হলে অবশ্যই কষ্ট করতে হবে।’

মিরপুরে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্পে উইকেট কিপারদের সঙ্গে সময় কাটান কাজী নুরুল হাসান সোহান।২০১৬ সালে নিউ জিল্যান্ড সফরে সোহানের মাথায় উঠেছিল ওয়ানডে ও টেস্ট ক্যাপ। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়ানডে অভিষেকে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খাদের কিনারে থাকা বাংলাদেশ তার ৪৪ রানে ভালো অবস্থায় গিয়েছিল। তিন টি-টোয়েন্টির দুইটিতে অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে, অন্যটিতে করেছিলেন ১০। টেস্টে অভিষেক ইনিংসে ৪৭, পরের ইনিংসে শূন্য।

নতুন বলে উইকেট না হারানোর পরামর্শ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের, ‘টেস্ট, টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে যা-ই বলেন, নতুন বল খেলা চ্যালেঞ্জিং হবে আমাদের জন্য। শুরুতেই যদি আমরা উইকেট হারাই ওই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাবে। শুরুতে যদি কম উইকেট পড়ে, অর্থাৎ বেশি উইকেট হাতে রেখে যদি পরের দিকে আক্রমণে যাই তাহলে ব্যাটসম্যানরা শট খেলার সুযোগ পাবে।’

নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ কোনও ফরম্যাটেই কখনও জেতেনি। সোহানের বিশ্বাস তাসমান পাড়ের দেশে পূর্বের অপ্রাপ্তিগুলো এবার প্রাপ্তির আনন্দে ভরে যাবে, জয় নামের সোনার হরিণ এবার ধরা দেবে। বুক ভরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি বলেন, ‘এর আগে যতবার আমরা নিউ জিল্যান্ড সফর করেছি... আমার কাছে মনে হয় এবার সবচেয়ে ভালো ফল আসবে।’

  •