লাল দৈত্যদের ঘুম পাড়িয়ে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে আনল মানচিনি ব্রিগেড। আজ লুকাকু অ্যান্ড কোম্পানিকে ২-১ গোলে পরাস্ত করল ইতালি ফুটবল দল। চলতি ইউরোয় দুরন্ত পারফরম্যান্স করলেও অবশেষে ছিটকে যেতে হল বেলজিয়ামকে। আর অন্যদিকে, সেমিফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হতে হবে ইটালিকে।
আজ ম্যাচের প্রথমার্ধেই আসে তিন তিনটে গোল। ৩১ মিনিটে ইটালিকে ১-০ গোলে এগিয়ে দিলেন নিকোলাস বারেলা। ভারটংহেনের থেকে একটা লুজ পাস পেয়েছিলেন ভেরাত্তি। প্রথমেই তিনি দেখে নেন যে বক্সের মধ্যে কার্যত ফাঁকাই রয়েছেন বারেলা। সেই সুযোগে তিনি বলটা বাড়িয়ে দেন। বারেলা বেলজিয়ামের দুই ডিফেন্ডারকে প্রতিহত করে অবশেষে একটা শট নেন। বল খানিকটা বাঁক খেয়ে প্রথমে গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়, আর তারপরে সোজা বিপক্ষের জালে জড়িয়ে যায়। এই জায়গায় কোর্তুয়ার কিছুই করার ছিল না।
ইটালির দ্বিতীয় গোলটা আগে ৪৪ মিনিটে। গোল করলেন ইনসাইন। আজ অসাধারণ ফর্মে ছিলেন বারেলা। নিজে একটা গোল তো করলেনই, উলটে দ্বিতীয় গোলে তিনি সাহায্যও করলেন। ইনসাইন ডিপ থেকে উঠে এসে বক্সের মধ্যে প্রথমে জায়গা করে নেন। তারপর জোরাল শটে কোর্তুয়াকে পরাস্ত করলেন। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ইটালি। চলতি ইউরো টুর্নামেন্টে এটা যে অন্যতম সেরা গোল ছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না।
এরপর মাত্র এক মিনিটের মধ্যে পোনাল্টি অর্জন করে বেলজিয়াম। ইটালির রাইট ব্যাক ডকুর সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে পেনাল্টি অঞ্চলে পড়ে যান ডি লরেঞ্জো। রেফারি সিদ্ধান্ত নিতে কোনও ভুল করেননি। ইটালির ফুটবলাররা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলেও, শেষপর্যন্ত VAR-ও পেনাল্টির সিদ্ধান্তেই অনড় থাকে। লুকাকু পেনাল্টি শট নিতে আসেন এবং দলের হয়ে একটি গোলের ব্যবধান কমান।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ১৩ মিনিটের মাথায় ইটালির হয়ে গোল করেছিলেন বোনুচ্চি। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেওয়া হয় সেই গোল। তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনও দলই গোল পার্থক্য কমাতে কিংবা বাড়াতে পারেনি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে বেলজিয়াম শেষ আটটা ম্যাচের মধ্যে সাতটাতেই জয়লাভ করেছিল। ২০১৬ সালে শেষবার তারা ওয়েলসের কাছে ৩-১ গোলে পরাস্ত হয়েছিল। তবে আজ আবার তাদের অশ্বমেধের ঘোড়া থেমে গোল।