টেস্ট ক্রিকেটে ঐতিহ্যের অংশ সাদা পোশাক এবং লাল বল। বর্তমানে ক্রিকেটের এই দীর্ঘ ফরম্যাটে দর্শকদের বাড়তি আগ্রহ ফেরাতে ২০১৫ সালে দিবা-রাত্রির টেস্ট ক্রিকেটের আয়োজন করা হয়। লাল বলের পরিবর্তে রাতের বেলা দেখার সুবিধার্থে ব্যবহার হয় গোলাপি বল।
সাধারণত লাল বলের তুলনায় গোলাপি বলের স্থায়িত্ব, সুইং এবং ঔজ্জ্বলতা অনেক বেশি। ফক্স ক্রিকেটের সঙ্গে আলাপচারিতায় তাই শুধু দিবা-রাত্রির টেস্টই নয় দিনের ম্যাচগুলোতেও গোলাপি বল ব্যবহার করা উচিত বলে মতবাদ ব্যক্ত করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন।
কিন্তু ওয়ার্নের এই মতবাদের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ। টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্য লাল বলকে বাঁচিয়ে রাখার পক্ষে তিনি। একই সঙ্গে লাল বলে খেলতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বলেও জানান এই অজি ব্যাটসম্যান।
অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের অফিশিয়াল ব্রডকাস্ট চ্যানেল সনি নেটওয়ার্ককে স্মিথ বলেন, 'ব্যক্তিগতভাবে আমি লাল বলের ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। সব দিক বিবেচনা করলে প্রচুর পরিমানে লাল বলে ক্রিকেট খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি আমি। এটি আমাদের টেস্ট ক্রিকেটে ঐতিহ্যের অংশ।'
লাল বলের ক্ষেত্রে সাধারণত অস্ট্রেলিয়ার তৈরী কোকাবুরা বলই টেস্ট ক্রিকেটে অধীক ব্যবহৃত। যদিও ইংল্যান্ড ডিউক এবং ভারত এসজি বলে নিজেদের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলে থাকে। ইংল্যান্ডের ডিউক বল বাদে বাকি সব লাল বলের কার্যকারীতা অনেক কম।
একটি লাল বল যেখানে ২৫ ওভার পর নরম হয়ে যায়, সেখানে গোলাপি বল নরম হতে সময় নেয় ৬০ ওভার। তাই সব টেস্ট ম্যাচেই গোলাপি বল ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন ওয়ার্ন। কিন্তু স্মিথ গোলাপি বলে একটি সিরিজ বা কয়েকটি ম্যাচ আয়োজনের পক্ষে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, 'আমি মনে করি গোলাপি বলে একটি সিরিজ বা কয়েকটি ম্যাচ খেলা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ আমরা অ্যাডিলেডে দেখেছি গোলাপি বল খুব ভালভাবে কাজ করেছে। এটির দর্শনীয়ও বটে। আমরা সত্যিই বেশ ভালো কিছু দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ খেলেছি।'