My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


নাসিরের অলরাউন্ডস পারফরম্যান্স বৃথা গেলো

বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে প্রথম স্তরের চার দলের মধ্যে জয় পেয়েছে ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগ। নাজমুল হাসানের ঘূর্ণিতে নাসিরদের রংপুরকে হারিয়ে ঢাকা। অথচ ম্যাচটিতে ব্যাটে-বলে দারুন পারফরম্যান্স করেছিলেন নাসির হোসেন। অপর ম্যাচে বোলারদের দারুন পারফরম্যান্সে খুলনার ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয়েছে। এই ম্যাচে সিলেটের জাকির হাসান পেয়েছিলেন সেঞ্চুরিও।

বৃহম্পতিবার বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত রংপুর ও ঢাকার ম্যাচটি রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ৬ উইকেট নিয়ে নাসির হোসেনদের রংপুরকে একাই গুড়িয়ে দিলেন। ২৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৮৩ রানে অল আউট রংপুর। জাতীয় ক্রিকেট লিগ ঢাকা বিভাগ শুরু করলো ৮০ রানের জয়ে। এই হারে নাসিরের সেঞ্চুরি ও চার উইকেট বৃথাই গেলো।আগের দিনের ৩৫ রান নিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন সোহরাওয়ার্দী শুভ ও মাহমুদুল হাসান। তাদের জুটি দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। এদিকে প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান নাসির এই ইনিংসে ১৬ রানেই আউট হয়েছেন। সবমিলিয়ে ৮৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে অথৈ সাগরে পরে রংপুরের। সপ্তম উইকেটে আকবর আলী ও নাঈম ইসলামের কিছুটা চেষ্টা করলেও সেটি যথেস্ট হয়নি। 

আকবরকে ২৮ রানে নাজমুলের শিকার হন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন নাঈম ইসলাম।প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট পাওয়া নাজমুলের দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার ৬টি। ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো পেলেন ৫ উইকেট। এমন সাফল্যে ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটিও জিতেছেন তিনি।প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শেষ দিনে খুলনার জয়ের জন্য মাত্র ৬৮ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় নুরুল হাসান সোহানের দল। জাকির হোসেনের প্রতিরোধের পরও সিলেট বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৮ রান করতে সমর্থ হয়। এর আগে খুলনার করা ৩৭৫ রানের জবাবে সিলেট করেছিল ১৩৪ রান। ফলোঅন পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ভালো করলেও পরাজয় এড়াতে পারেনি তারা। 

বুধবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ৫ উইকেটে ২৫০ রানে দিন শেষ করেছিলো সিলেট বিভাগ। বৃহস্পতিবার মাত্র ৫৮ রান যোগ করতেই শেষ ৫ উইকেট হারায় তারা। জাকির হাসান আগের দিন অপরাজিত ছিলেন ১১৮ রানে। আজ আরও ২২ রান যোগ করে আউট হয়েছেন। দলের সর্বোচ্চ ১৪০ রান সংগ্রহ করলেও তা ম্যাচ বাঁচানোর জন্য যথেষ্ঠ ছিলো না। ২৩৩ বলে ১৫ চারে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। এছাড়া ৬৬ রান করেন অমিত হাসান। খুলনার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সেরা বোলিং করেছেন আব্দুল হালিম। ৬২ রান খরচায় তিনি চারটি উইকেট নেন। এছাড়া ৩টি উইকেট নেন মঈনুল ইসলাম সোহেল। জয়ের জন্য মাত্র ৬৮ রানের লক্ষ্য পায় খুলনা। ৯.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরানুজ্জামান। ম্যাচ হারলেও অনবদ্য সেঞ্চুরির সুবাদের সিলেট বিভাগের জাকির ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পান।