My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


ক্রিকেট মাঠে ফুটবল ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে শ্রদ্ধা

বুধবার নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ডিয়াগো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোকাহত সারাবিশ্ব। বাংলাদেশের ক্রিকেটেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সাকিব-মাশরাফি থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটার ফুটবল জাদুকরের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন। বসে থাকেননি বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবিও।  

বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচ শেষে এক মিনিট নিরবতা পালন করে ডিয়াগো ম্যারাডোনার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন চার দলের ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও মাঠ কর্মীরা। জেমকন খুলনা, মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী, বেক্সিমকো ঢাকা এবং গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের ক্রিকেটাররা মাঠে উপস্থিত থেকে ম্যারাডোনার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া বিসিবির পরিচালক ও মাঠে উপস্থিত দুই দলের বেশ কয়েকজন সমর্থক এই শ্রদ্ধায় অংশ নেন।

আর্জেন্টিনার জেতা সবশেষ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোর আসরে বলতে গেলে প্রায় একাই চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন লাতিন আমেরিকার দেশটিকে। ওই বিশ্বকাপেই ফুটবল বিশ্ব দেখেছিলেন তার ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলটি। ক্লাব ফুটবলে নাপোলিকে দিয়েছিলেন লিগ শিরোপার স্বাদ। ইতালিয়ান এই ক্লাবে যাওয়ার আগে খেলে গিয়েছিলেন বার্সেলোনার জার্সিতে। আর ক্যারিয়ারের শেষটা করেছিলেন বোকা জুনিয়র্সে।

১৯৬০ সালে আর্জেন্টিনার বুইয়েন্স আইরিসে জন্ম নেওয়া এই ফুটবল কিংবদন্তি আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৯১ ম্যাচে করেছেন ৩৪ গোল। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। ২০০৮ সালে দায়িত্ব নিয়ে আলবিসেলেস্তেদের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন ২০১০ সালের বিশ্বকাপেও। সবশেষ আর্জেন্টাইন ক্লাব জিমনেসিয়ার কোচের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।দারুণ ফুটবলে যেমন নন্দিত ছিলেন, তেমনটি নিন্দিতও ছিলেন বেপরোয়া জীবনযাপনের কারণে। বিশেষ করে, কোকেন সেবন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার ফুটবল ক্যারিয়ারে। যে কারণে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে খেলাই হয়নি এই কিংবদন্তির। ১৯৯১ সালে ড্রাগ পজিটিভ হয়ে ১৫ মাস নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি।

  •